Select Page

অদ্ভুত জনপদের সন্ধানে ‘বিউটি সার্কাস’

অদ্ভুত জনপদের সন্ধানে ‘বিউটি সার্কাস’

Beauty-Circus

শুটিং শুরু হবে ডিসেম্বরে। একটু অন্য ধারার সিনেমা বলে চাই যুতসই লোকেশন। তাই দেশজুড়ে ছুটছেন পরিচালক ও তার টিম। অনলাইনে অনেকে সুন্দর সুন্দর লোকেশনের হদিসও দিচ্ছেন। সিনেমা টিমও হাজির। কিন্তু কাহিনী অনুসারে মিলছে না। এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন টেলিভিশন নাটক দিয়ে হাত মকশো করা নির্মাতা মাহমুদ দিদার। এতদিন সিনেমাটিক কাহিনী নিয়ে নাটক নির্মাণ করেছেন। এবার ‘বিউটি সার্কাস’ দিয়ে অভিষেক হচ্ছে বড়পর্দায়। দিদারের লেখা চিত্রনাট্যটির ভাগ্যে জুটেছে সরকারি অনুদান।

বছরখানেক ধরে লোকেশন বাছাইয়ের কাজ চলছে। অনুদান পাওয়ার পর এ বিষয়ে দিদার সম্প্রতি ফেসবুক বন্ধুদের সাহায্য চান। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই সাড়া দেন। ওই সময় তিনি লিখেন, “বিউটি সার্কাস’ সিনেমার জন্য আমরা একটা অদ্ভুত জনপদের সন্ধান করছি। একটা বিশাল অঞ্চল আমাদের টিম চষে বেড়িয়েছে। আশার আলো দেখছি। বিস্তীর্ণ ল্যান্ডস্কেপ, মানুষের বিচিত্র লুক, অদ্ভুত পেশা, আদিবাসীর মায়াবী মুখ, সীমান্তবর্তী কাঁটাতার, পাহাড়, নদী, ঔপনিবেশিক আমলের ব্রিজ, রেল জংশন …এই সব আমাদের চাহিদার তালিকায় আছে।”
শুক্রবার দুপুরে দ্য রিপোর্টকে লোকেশনের ফিরিস্তি দিলেন দিদার। গত দুই মাসে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রাজশাহী, সিলেট, খুলনাসহ আরও কিছু অঞ্চল ঘুরেছেন তিনি। বেশির ভাগ জায়গায় চলে গেছে বাতিলের খাতায়। হাতে আছে সোমেশ্বরী নদীর তীর, গারো পাহাড় আর সুন্দরবনের শরণখোলা। সিলেটেও হতে পারে কিছু অংশের শুটিং, কিন্তু বাদ পড়ল পদ্মার তীর।

নাম থেকেই বোঝা যায়, সার্কাস পার্টির কাহিনীতে নির্মিত হচ্ছে ‘বিউটি সার্কাস’। যার দল প্রধানের নাম বিউটি। দলটির অনেক নামডাক। সীমান্তের ওপার থেকে মানুষ তাদের দড়াবাজি দেখতে আসে। কিন্তু নেতৃত্ব সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। তার ওপর যদি হন নারী। তাহলে তো কথা নেই। আর এ চরিত্রে থাকছেন জয়া আহসান। চোখ বুজে বলা যায় এ ধরনের চরিত্রের জন্য জয়া একদম পারফেক্ট। অন্যান্য কাস্টিং এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

শুধু লোকেশনই নয়, সার্কাস দলের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন দিদার। তিনি জানান, এ সিনেমার জন্য বাস্তবে সার্কাসে কাজ করে এমন লোক বেশি দরকার। এর মধ্যে কয়েকজন পেয়েও গেছেন। সে অভিজ্ঞতা থেকে লিখেন, রাজশাহীর অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় এ স্ট্যাটাসে, “টিম ‘বিউটি সার্কাস’ এখন রাজশাহীতে। ‘দি সোনালী সার্কাস’র ৪৫ হাত উচ্চতার তাঁবুর তলে বসে আছি। সব থেকে দক্ষ খিলাড়ীদের বাছাই করছি আমরা। ভালো কিছু করার লড়াইয়ে সবার আশির্বাদ চাই। জয়তু সিনেমা। সিনেমার দিন আসবেই।”

প্রাক-প্রস্তুতি সম্পর্কে দিদার বলেন, ‘একদম অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা। আমার গল্পের জন্য সে ধরনের ভাষা, সংলাপ, গান দরকার তার জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তাদের অনেকে নিরীক্ষামূলক কাজও দেখেছি। তার সবটাই আমার দরকার। অচিরেই তাদের নিয়ে লোকেশনে নেমে পড়বে টিম।’

তাহলে তো অর্ধেক বাংলাদেশ ঘুরা হয়ে গেল!— এমন কথায় জানান, ‘হ্যা, তা বলতে পারেন। আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম— একই এলাকায় তার সব কিছু মিলছে না। তাই ভাগ ভাগ করে কাজ করতে হবে।’

‘বিউটি সার্কাস’র জন্য প্রস্তুতি বেশ আগে থেকেই চলছে। চলতি বছরের মে মাসে দিদার জানান, গত বছরের জুন মাস থেকেই প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশের যেখানে যেখানে সার্কাস হয় সেই জায়গাগুলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। সে সময় গিয়েছিলেন মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ।

লেখাটি দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমে পূর্ব প্রকাশিত।

 


মন্তব্য করুন