Select Page

সালমান শাহকে নিয়ে কিছু কথা

সালমান শাহকে নিয়ে কিছু কথা

Salman (2)আমাদের সিনেমায় সালমান শাহ অতীত – যেমন অতীত জাফর ইকবাল, সোহেল চৌধুরী, জসীম এবং মান্না। সবাই-ই সময়ের আগে আমাদের সিনেমা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। দশ বছরের কম সময়ের মধ্যে তাদের সেই চলে যাওয়া আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রির জন্য কত বড় ধাক্কা ছিল সেটা আমরা বর্তমানে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তাদের হারানোর ফলে আমাদের চলচ্চিত্র এক বিশাল ভক্তশ্রেনীর মধ্যে যে হাহাকার তৈরি হয়েছিল সেই ভক্তশ্রেণীর মন ভরার জন্য বিকল্প তৈরি আমাদের জন্য এখনো সম্ভব হয়নি।

তবে চেষ্টার কোন কমতি করছিনা আমরা।

ব্লগে ফেসবুকে অনেকদিন ধরেই একদল মানুষকে বলতে শুনি – আহ! আমাদের নায়ক ছিল একখান। সে থাকলে কতকিছু হয়ে যেত। অনেক বদলে যেত আমাদের সিনেমা। তার মত নায়ক কোথায়? সে থাকলে হয়ত তার মুভি দেখতে হলেও সিনেমা হলে যাইতাম।

আসলেই কি তেমন কিছু? সালমান যখন মুভিতে অভিনয় শুরু করে তখন এদের অনেকেরই মাত্র পৃথিবীতে আগমন হয়েছে। অথবা বছর দুই-তিনেক-পাঁচেক হয়েছে তাদের এই ধরায় আগমনের। তাদের যখন মুভি দেখার বয়স হয়েছে তার বহু আগেই সালমান ওপারে চলে গিয়েছে। তার মানে কি দাড়ায়? তাদের সিনেমা হলে না যাওয়া, বাংলা মুভি না দেখা, সব একজন মৃত মানুষের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

যদি সালমান শাহ বেঁচে থাকত তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্যে কি বলত বলে মনে করেন? তিনি কি এ কথা বলতো, ‘শুধু আমার মুভি দেখবেন, আর কারো মুভি দেখবেন না’? জীবনেও এমন কথা বলতোনা সে।

আমি যদি বলি -‘জাফর ইকবাল ছিল নায়ক, সে যখন নাই, তখন এই সালমান সানিদের মুভি কি দেখব? সে ছিল নায়ক, সবদিক থেকে যোগ্য একজন নায়ক ইত্যাদি ইত্যাদি’ – তখন কেমন দাড়াবে? সিনেমা হলে গিয়ে মুভি দেখা যখন শুরু করেছি তার কিছুদিন আগেই সে পরপারে চলে গিয়েছে। তার দুয়েকটা মুভি পরে আমাদের এলাকাতে চালানোতে তার মুভি সিনেমা হলে দেখার সুযোগ হয়েছিল। ভিসিআরে আর টিভিতেই তার বেশিরভাগ মুভি দেখেছি।

সালমানের মুভি টিভিতে দেখে আফসোস করে অন্যদের মুভি দেখবেন না, সিনেমা হলে যাবেন না, সেটা কোন জ্ঞানীলোকের লক্ষণ না! এরকম হলে জাফর ইকবালের পরে আর কেউ রোমান্টিক ইমেজ নিয়ে দাড়ানোর সুযোগ পেতোনা।

কিন্তু সালমান দাড়িয়েছিল কারন সে বাংলা মুভি পাগল দর্শক পেয়েছে, আমাদের পেয়েছিল। যদি বর্তমান ভার্চুয়াল সালমান ফ্যানদের মত মানে আপনাদের মত দর্শক থাকত তখন সালমানেরও আজকে সালমান শাহ হওয়া হতোনা সম্ভবত!

আমরা সিনেমা হলে গিয়ে সালমানের মুভি দেখেছি। ওমর সানির মুভি দেখেছি। যে সপ্তাহে ‘গরিবের রানী’ দেখেছি সেই একই সপ্তাহে ‘স্বপ্নের পৃথিবী‘ও দেখেছি। আমাদের এই সিনেমাপ্রীতির কারনেই পরিচালকেরা তাদের মুভি একই সপ্তাহে রিলিজ দেয়ার সাহস পেত।

আপনি হয়ত সালমান শাহ আর ওমর সানির সেই যুগ দেখেন নি। তাই এভাবে বলতে পারছেন অথবা বলছেন।

আমাদের হাইস্কুল জীবনের শুরু থেকেই তারা সিনেমা শুরু করেছিল। আমরা দলবেধে তাদের সিনেমা দেখতে সিনেমাহলে ছুটে যেতাম। প্রথমে শুধু কেয়ামত থেকে কেয়ামতের জন্য সালমানের প্রতি অনেকের ভালোলাগা জন্ম নিতে পারে কিন্তু আমার তখনও তার প্রতি ভালোলাগার জন্ম হয়নি। তাকে ভাল লাগতে শুরু করেছিল অন্তরে অন্তরে মুভি দেখার পর থেকে।

বিক্ষোভ মুভিতে প্রতিবাদী ছাত্র আর এই ঘর এই সংসার মুভিতে তার অভিনয় আমার মন কেড়ে নিয়েছিল। তুমি আমার মুভিতে তার অভিনয় যথেষ্ট পরিমান ভালোলাগা বাড়িয়ে দিয়েছিল বলতে পারি। আর দেনমোহরের মৌসুমি-সালমানকে কে ভুলতে পারবে? ‘শুধু একবার’ গানের কথা এবং সুর শুনলে এখনো শিহরিত হই আমি। ইউটিউবে এই গান কতবার শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই। কন্যাদানে মোছওয়ালা সালমানকে তেমন ভালো লাগেনাই। স্নেহতে ভালো লেগেছিল। প্রেমযুদ্ধ ভাল লেগেছিল মুভির গানের কারনে।

এই ঘর এই সংসারে বৃষ্টি ছিল, প্রেমযুদ্ধতে ছিল লিমা। শাবনাজের সাথে করা আঞ্জুমান আর শাবনাজ সাবরিনার সাথে করা আশা ভালোবাসাও ভাল না লাগার কোন কারন ছিলনা।

তবে সালমান এর ষ্টাইল শুরু হয়েছিল ৯৫ তে। প্রিয়জন আর তোমাকে চাই ছবিতে। এ যেন নয়া সালমান শাহ। চুলের ষ্টাইল থেকে সিনেমায় তার গাড়ির ষ্টাইল ও ছিল নতুন। তারপরে বিচার হবে, মহামিলনেও সেই ধারা বজায় রেখেছিল। স্বপ্নের পৃথিবী মুভিতে তার অভিনয়ের সাথে তার গেটাপের পরিবর্তন আমাদের এই সুপারষ্টারের আসন পাকাপোক্ত করে ফেলেছিল। আর স্বপ্নের নায়কের সেই গোল চশমা আর লম্বা চুলের সালমান স্বপ্নের নায়ক হওয়ার আগেই এই স্বপ্নের ভুবন ছেড়ে চলে যাওয়া আমাদের জন্য ভাল রকমের ক্ষতি ই করে দিয়ে গিয়েছিল।

সে সময়ে জসীম, মান্না, ইলিয়াস কাঞ্চন, রুবেল আর এদের সাথে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর সানি তো ছিলই। নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের অনেক কিছুই তার মধ্যে ছিল। যার কারনে একটা আলাদা দর্শকশ্রেণী সে তৈরি করতে পেরেছিল। মুভি হিট হবে কি ফ্লপ সেটা হয়ত রিলিজের পরের ব্যাপার কিন্তু সালমান শাহ’র মুভিতে গানগুলো চমৎকার থাকবে এটা আমরা মুভি রিলিজের আগেই বুঝতে পারতাম বেশ।

শাবনুরের সাথে তার অনেক গুঞ্জন চালু ছিল সে সময়ে। তেমন গুঞ্জন তো মৌসুমি-ওমরসানির ও ছিল। সেসবে খুব বেশী সময় অথবা মনোযোগ দেওয়া হয়ে উঠেনি। তারকাদের পারসোনাল লাইফ নিয়েও তেমনভাবে আগ্রহী ছিলাম না। বিনোদন পত্রিকাগুলো তখনো অনেক চটকদার নিউজ করত তাদের নামে।

হঠাৎ একদিন বিকেলে খবরটা শুনি। সন্ধ্যার পরে বিশ্বাস করতে বাধ্য হই আমাদের সালমান আসলেই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।  মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি তার ভক্ত ছিলাম না। কিন্তু আমার খারাপ লাগা কমেনি তাতে একটুও।

এরপরের কয়েকদিন তো পত্রিকা জুড়ে সালমান আর সালমান। থাক সেসব কথা – তার মুভি নিয়েই বরং কথা বলি।

কিছুদন পরে রিলিজ হল সত্যের মৃত্যু নেই। মধুমিতায় কোন টিকেট নেই প্রথমদিন সকাল থেকেই। মঙ্গলবার গিয়ে টিকেট পেয়েছিলাম। তারপর মুক্তি পেল জীবন সংসার আর মায়ের অধিকার। এসব মুভি আসলে আফসোস বাড়িয়ে দিয়েছিল। সালমান যখন অভিনয়ে পাক্কা হয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই কোন অভিমানে সে চলে গেল আমাদের ছেড়ে – বুঝতে পারছিলাম না।

চাওয়া থেকে পাওয়াতে তার চশমার আর ক্যাপের যে বাহার দেখেছিলাম। জোনাকিতে মর্নিং শো দেখে এসে দুপুরে খেয়ে দেয়ে অভিসারে গিয়েছিলাম ৩.৩০ এর শো দেখতে। আর গান এর কথা আলাদা করে কি বলব। প্রত্যেকটা গান ই ছিল অসাধারন!

শুধু তুমি মুভির শেষের দিকের কিছু অংশ সালমান পুরা করে যেতে পারেনি। চাওয়া থেকে পাওয়া মুভির খুব অল্প অংশ নির্মান বাকী ছিল। খুব বেশী বুঝা যায় নি সালমানে অভাব। আনন্দ অশ্রু, প্রেম পিয়াসি করে সে অনেকের বুকের ভিতর আগুন-ই জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলা যায়। দুটো মুভিই সে শেষ করে যেতে পারেনি।

যদি সে থাকত? যদি সে তার মুভিগুলোর কাজ সম্পূর্ন করে যেতে পারত?

তারপরের যেসব মুভিতে সে সাইন করেছিল প্রত্যেকটা মুভিই তাকে মহানায়ক বানানোর পথে একধাপ করে এগিয়ে নিয়ে যেত শুধু – আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি। জাফর ইকবালের পরে আরেকজন এভারগ্রীন নায়ক পেতে পারতাম আমরা।

সালমান হয়ত আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার মুভিগুলোকে আমরা সে সময়ের দর্শকেরা আপন করে নিয়েছিলাম। বর্তমান দর্শকদেরও দায়িত্ব আছে। নতুনদের আপন করে নিতে হবে। ভাল মুভিকে উৎসাহ দিতে হবে। আমাদের সিনেমাহলে নিয়মিত যেতে হবে।

আরেকটা সালমান শাহ না আসলেও সালমানের মত অনেককেই আমাদের এখানে আসার রাস্তাটা আমাদেরকেই করে দিতে হবে। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য শুভকামনা সবসময়। মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে একদিন আমরা দাড়াবোই।


২২ টি মন্তব্য

  1. C/O Dipu...

    একথা কথা এখানে লেখককে বলতে চাই…
    সালমানকে নিয়ে দর্শকদের মাতামাতির মূল কারণটা কোথায় জানেন ? সময়ে…

    সালমান তার নিজের সময়কে অতিক্রম করতে সক্ষম ছিলেন… যার কারণে এখনও তার নতুন নতুন দর্শক ও ভক্ত তৈরী হচ্ছে… সেটা তার স্টাইলের কারণেই হোক আর অভিনয়ের কারণেই হোক…

    কিন্তু ওমর সানী-সহ তখনকার অন্য নায়কগুলো সেরকম দক্ষতা দেখায় নি…
    তারা হিট ছবি দিয়েছে সত্য, কিন্তু শুধুমাত্র হিট ছবিই একজন অভিনেতাকে কালজয়ী করে না, স্বকীয়তা এবং দর্শক ধরে রাখার ক্ষমতা থাকতে হবে…

    সালমানের সাথে অন্যান্য নায়কের শুধু স্টাইলে পার্থক্য দেখলেই চলবে না,
    সেগমেন্ট বাই সেগমেন্ট, ডায়লগ থ্রোয়িং-এ পার্থক্য দেখুন…
    অনেক ব্যবধান… অনেক…

    • ভাল বলেছেন এই সময়ে ঐ সময়ের গল্প অনেকেরেই এভাবেই বলতে দেখি।ব্যাপারনা।
      ওমর সানি যদি ঐ সময়ে মারা যেত তাহলে ওমর সানির ও এত এত মুভি আছে যে তাকে কালজয়ী বানানো যেত।
      ঐ সময়ে সালমান আর সানীর কি ক্রেজ ছিল সেটা এ সময়ের ওমর সানিকে দেখে কেউ ধারনাই করতে পারবেনা।

      সালমানকে নিয়ে সমালোচনামূলক লেখাও আমার আছে।কিন্তু যেহেতু স্মৃতিচারণ করেছি সেহেতু তার প্রতি কোনভাবে অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায় তেমঙ্কিছুই লেখা হয়নাই।নির্মোহভাবে তাকে দেখার চেষ্টা করেছি।
      সালমান বেঁচে থাকলে কি হইতে এটা সময় ই বলে দিত।মারা যাওয়াতে এখন শুধু কল্পনায় যা মনে আসবে তা ই বলতে পারবেন।

      আমরা মৃতদের যতটুকু সম্মান দেই জীবিতদের এর অর্ধেক দিলেও অনেককেই মহানায়ক বানিয়ে ফেলতে পারতাম।

      ধন্যবাদ আপনের মতামতের জন্য।

  2. ShifanDotMovie

    লেখাটা পড়ে ভাল লাগল ।আমি আসলে তখন খুব ছোট ছিলাম ,তাই হলে গিয়ে সালমানের কোন মুভি দেখা হয়নি ।কিন্তু টিভিতে অনেক দেখেছি ।ভাল লাগে সালমানকে ,তার অভিনয়কে ।কিন্তু সত্যি বলতে কি এরপর যখন আমি হলে যাওয়া শুরু করি তখন রিয়াজ ,শাকিব ,ফেরদৌস ,মান্না ,আলেকজেন্ডার বো ,অমিত হাসান ,সবার ছবিই দেখি কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে শাকিব খানকে অনেক ভাল লাগে ,প্রিয় নায়কের আসনে শাকিব খানকেই বসাই ।কিন্তু একটা আফসোস যে শাকিব খান বেছে বেছে ছবি করেনি ,ভাল ছবির সুযোগ পায়নি ।যদি সে সালমান ,রিয়াজ ,ফেরদৌস এর মত ভাল ছবি পেত আর নিজের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বেছে বেছে মানসম্মত ছবি করত ।তবে শাকিব খান বাংলাদেশের অনেক নায়ককেই ছাড়িয়ে যেত ।তখন শাকিবই হত লিভিং লিজেন্ড ।

  3. Aziz

    @বিবাহিত ব্যাচেলর “সালমানকে নিয়ে সমালোচনামূলক লেখাও আমার আছে” Bhai DOya kore Salman sompor k negetive positive sobe share korun kno prb nei

  4. C/O Dipu...

    বিবাহিত ব্যাচেলর বলেছেনঃ “ওমর সানি যদি ঐ সময়ে মারা যেত তাহলে ওমর সানির ও এত এত মুভি আছে যে তাকে কালজয়ী বানানো যেত”

    আমি তো আপনাকে বিষয়টি বললাম, শুধুমাত্র হিট ছবি দিয়ে কালজয়ী হওয়া যায় না। ওমর সানীর অভিনয়ে অনেক ভুল বিদ্যমান। ওর এক্সপ্রেশনগুলো স্বাভাবিক ছিল না…

    সানীর মতো মিঃ চৌধুরী বলে বেঁকে যাওয়া আর মান্নার মতো চিৎকার সর্বস্ব ডায়লগ মার্কা অভিনয়েই যদি তাদেরকে কালজয়ী বানিয়ে ফেলেন তাহলে আমিও স্বীকার করে নিচ্ছি বাংলাদেশে প্রত্যেকেই কালজয়ী…

    এবার সালমানের এমন একটা অ্যাক্টিং আপনি আমাকে দেখান যেটা ওভার অ্যাক্টিং ছিল…

    আর বর্তমান দর্শকদের কথা বাদ দিন… আপনাদের মতো দর্শকেরা কেন সালমানের মৃত্যু পরবর্তী দুঃসময় কাটিয়ে ওঠাতে পারেন নি… সালমান একাই তো মরেছিল… সানী, কাঞ্চন, জসীম, মান্না, রূবেল এরকম অনেকেই ছিল কিন্তু তারপরও কেন ধ্বস নামলো…

    সালমানের লিমিটেশন অবশ্যই আছে, দর্শকের আবেগও হয়তো সালমানকে এগিয়ে রেখেছে, কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি বাংলাদৃশী অন্য যে কোনও অভিনেতার থেকে সালমান অনেক বেশি ভালো অ্যাক্ট করতে পারতো…

    • jubaead_dweep

      C/O Dipu…

      আপনার কথা শুনেই, আমি প্রায় নির্বাক হয়ে গেছি।
      সালমান আমাদের গর্ব।
      কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না, আপনি মান্নাকে কিভাবে হিট করলেন ?
      আপনার বাংলা চলচ্চিত্র সম্নধে ধারনা যে কম তা আপনার মন্তব্য দ্বারা আচ করা যায়।
      কিন্তু এতটা নেতীবাচক জ্ঞান আপনার তা ঠাওর করতে পেরে একদম চমকে উঠেছি।
      আমি মান্নার কমপক্ষে ১৫ টা চলচ্চিত্রের নাম বলতে পারবো, যার একটা সিনেমার মাত্র ৫ মিনিটের সাথে সালমানের গোটা ক্যারিয়ারের তুলনা দেওয়া হবেনা।
      সালমান নিঃশর্তে একজন ভালো অভিনেতা।
      কিন্তু মান্নার হাটুর কাছে আসার মত খ্যাতি বা প্রতিভা সে অর্জন করতে পারেনি।
      আর আপনি বলছে মান্না অভিনয় জানেনা।
      আপনি ক’টা মান্নার চলচ্চিত্র দেখেছেন ?
      একজন মানুষ সম্নধে না জেনে, তাকে নিয়ে মন্তব্য করা কি ঠিক ?
      কি দরকার ছিল, এরকম একটা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ওয়েবসাইটে বোকার মতো মন্তব্য করে লজ্জা পাবার ?

  5. jesmin

    Salman sha ar sathe karo tulona korcen apni valo …kub valo. but apnak bolte cai salman sha holo amon akjon avineta ar manus jar kono tulona hoy na,,,,,,ar amor sani ,manna,etc. ader sate tulona apner j pochondo kmon se bisoye sober buja hoye geche,,,,so ar ki bolbo? sudu ai tuku bolbo j aj salman thakle aj amder sinama r abosta amon hoto na…..se kotodin somoy peyece tar mokabila keo korte parbe bo;ei hoyto sedin take chole jete hoyece houto……….

    • দারাশিকো

      অবজেকশন জানাই জেসমিন। ব্লগার কিন্তু নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের দর্শক, শুধু সালমান শাহ বা ওমরসানি, মান্নার দর্শক নন। উনার রুচি নিয়ে প্রশ্ন করার সাথে সাথে আপনি প্রমাণ করে দিয়েছেন – আপনি সালমান শাহ’র মুভির দর্শক, বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের নন। এক সালমান শাহের অবদান কিছু ভালো ছবিতে অভিনয় ছাড়া আর কিছুই না – সেই তুলনায় মান্না, ওমরসানির ভূমিকা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে মাত্র ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেছে সালমান – একটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ৪ বছরে ২৭টি ছবি খুবই কম এবং নগণ্য। মান্নার অভিনীত ছবি একশ’র বেশী, ওমরসানিরও শতকের কাছাকাছি – সুতরাং উপেক্ষা করা সহজ নয়।

      আপনি সালমান শাহ’র ভক্ত হতে পারেন – আপনার ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করি – কিন্তু শুধু ভালোবাসা দিয়েই তো সব কিছু হয় না, যুক্তিরও স্থান থাকা দরকার। সেভাবেই চিন্তা করে দেখুন না!
      ধন্যবাদ।

    • jesmin

      valo bolcen bloger j salman k nia tader sate tulona korce ata konodin ami mene nibo na..karon ta apnar kotha r maje ase j ,,salman ar matero 27 chobi die je manuser mon joy korece seta to anno nayok ra 1000 chobi kore o korte pare ni…., 2ti chennal a ak sate akti te salman ar chobi anno tite anno kono nayok ar chobi jkn chole thkn e dekha jay konta ki maner chobi……..

    • জুবায়েদ দ্বীপ

      Yeo Man… Im Not Khet man…..
      why dont u understan, you fuck man.
      i like bengali films, honestly, our films, my films. thats why, you called my khet. man ?

      hain, “sob” tell me,
      whats called the smartness ? man…. said lol ? aha… damn man.

      tell me., u mother**er… whats the smartness ?

  6. C/O Dipu...

    jubaead_dweep

    অ্যাক্টিং আর ওভার অ্যাক্টিং এর পার্থক্য বোঝেন ?

    বাংলা চলচ্চিত্র সম্বন্ধে আমার ধারণা কম সেটা বলার আগে নিজের কতোটুকু ধারণা সেটা যাচাই করে নেবেন…

    আগে উত্তম কুমার, রাজ্জাক এদের ন্যাচারাল অ্যাক্টিং দেখে আসেন তারপর ওমর সানী, মান্নার ওভার অ্যাক্টিং নিয়ে লাফালাফি করেন…

    বললাম তো সালমানের একটা ওভার অ্যাক্টিঁং এর দৃশ্য আমাকে বলেন, তখন আপনাদের কথাগুলো মেনে নেব…

    কোনও যুক্তির খবর নাই, সালমানের খ্যাতিকে মান্নার হাঁটুর সমান বানিয়ে বসে আছে…

    খ্যাতির পরিসংখ্যানটা নিজে বানালেই হয় না … আপনার শেষ লাইনটা আপনার জন্যই উপযুক্ত…

    • ভাই দিপু,সালমানে অভিনয় দেখার জন্য রাজ্জাক আর উত্তম কুমারকে দেখে আসতে হবে কেন?
      রাজ্জাক যদি আজকে বলে এবং বলেছেও এরমধ্যে যে শাকিবের মধ্যে সে অনেক কিছুই দেখতে পেয়েছে।
      আজ যদি বলে সালমান থেকে শাকিব ভাল এই সময়ের জন্য তাহলে আপনি কিন্তু সেটাও মানবেন না।
      কারন সালমানকে যিনি পর্দায় নিয়ে এসেছেন তাকেই আপনের ভুল মনে হয়।সে যদি সালমানের কদর না করতে পারত তাহলে আপনি আজকে সালমানকে চিনতেন ই না।

      কিন্তু পরিচালক সোহান ও যখন সালমানের কিছু ভুল ভ্রান্তির কথা বলে দোষের কথা বলে তখন আপনি কোন আব্দুল যে তার কথাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চান?
      সৃষ্টি দেখেই স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়ার মত হয়ে গেল না ব্যাপারটা?

      আমি লেখাতেও বলেছি সালমান জাফর ইকবালের পরে আরেক মহানায়ক হওয়ার পথে ছিল।বেচে থাকলে হয়ত হতেও পারত।অকাল প্রয়ানে সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠেনাই।

      কিন্তু আপনেরা শুরু করেছেন পুরা বাংলা চলচ্চিত্রকে একজনের বানিয়ে দিতে।আমার জানা নাই আপনে কয়টা সালমানের মুভি সিনেমাহলে গিয়ে দেখেছেন।যদি জানাতেন তাহলে বুঝতে পারতাম আপনে তার কোন লেভেলের দর্শক।ধারনা করতে সহজ হইত আপনের ব্যাপারে।

      মান্না জসিম জাফর ইকবাল সবাই আমাদের চলচ্চিত্রের খাতিরেই এখানে উদাহরন হিসেবে এসেছে।তাদের মৃত্যুকে আপনে এককথায় ছোট করেই দেখতেছেন আপনের প্রতিটা মন্তব্যে।
      যেটা একজন বাংলা মুভির শুভাকাংখী হিসেবে আমার চোখে লাগতেছে।
      আমরা আগে বাংলাদেশী মুভির লাভার হই।তারপরে আমাদের পছন্দের নায়ক নিয়ে আলোচনা করতেই পারি।সেখানে দোষত্রুটি সবই থাকবে।দোষেগুনে মিলেই আমরা মানুষ।
      তারা প্রত্যেকেই আমাদের চলচ্চিত্রকে দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়েছে।
      সেখানে সালমান বলতে গেলে সার্ভিস দেওয়ার আগেই চলে গিয়েছে।এর জন্যই আমাদের সবচেয়ে বেশী আফসুস।এবং আমরাও সেটা ই করে থাকি।

      তাই বলে মান্না ওমর সানি যারা সালমান বেঁচে থাকতেই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের মুভিতে বেশী অভিনয় করেছেন।এবং নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন আমাদের চলচ্চিত্রে। আর সালমান ছিলেন রোমান্টিক মুভিতে ব্যস্ত।এবং সফল তো অবশ্যই।
      যার কারনে সালমানে সামাজিক মুভির মধ্যে এই ঘর এই সংসার ছাড়া অন্যমুভিগুলো তেমনভাবে সফল হইতে পারেনাই।যেটা আবার সালমানের মৃত্যুর পরের মুভির লিষ্ট দেখলেও আপনে বুঝতে পারার কথা।
      কিন্তু আপনাকে বুঝানের সাধ্য কি কারো আছে?
      অথবা আপনি কি কারো বুঝকে সম্মান করার মত অবস্থায় আছেন?
      আমার জানা নেই।

      আপনের জন্য শুভকামনা রইল।আশাকরি আপনের বোধদয় হবে।

  7. C/O Dipu...

    বিবাহিত ব্যাচেলর ভাই,

    আপনার শেষ মন্তব্যে কিছু কথা অসংলগ্ন মনে হলো, সৎ হলে একটু প্রমাণ দেবেন…
    পয়েন্ট টু পয়েন্ট বলি-

    ১. রাজ্জাক এবং উত্তম কুমারকে দেখতে বলেছি ন্যাচারাল অ্যাক্টিং-এর দক্ষতা বোঝার জন্য, এমনকি হুমায়ুন ফরিদীও চমৎকার একজন অভিনয় শিল্পী… যাক এই যুক্তিটা আপনাদের মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে…
    অভিনয়টা শিল্প হিসেবে বিবেচনা করলে এদের অভিনয় দেখতেই হবে…

    ২. শাকিবের ব্যাপারে আমার মন্তব্য এখনও আপনি জানেন না, কারও জবান দিয়ে ধারণামূলক মন্তব্যের উদ্ধৃতি ঠিক না, ওর প্রসঙ্গে উপরে কোনও মন্তব্য আমি করিনি…

    ৩. অন্য ব্লগ থেকে একটা তথ্য নিয়ে এসছেন দেখছি… তা সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরতে সমস্যা কোথায় ছিল ? নাকি সানী ও মান্না ভক্তদের অ্যপ্রিসিয়েশান পাবার সস্তা পন্থা… ?

    ব্লগটির লিংকঃ http://www.bmdb.com.bd/news/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87/

    ওখানে সোহানুর রহমান সোহান সালমানের স্মরণে কোনও স্থাপনার নামকরণের ব্যাপারে বলেছেন- “সালমানের অনেক নেগেটিভ দিক সম্পর্কেও আমরা জানি, যেটা দর্শকরা জানে না। তারপরও কোন সরকার যদি কখনো মনে করে সালমান শাহর নামে কোন কিছুর নামকরণ করা হোক, তবে করতে পারে।”

    আমার উত্তর ছিল- “হে পরিচালক, সালমানের নেগেটিভ দিক থাকতে পারে, মানুষ হিসেবে এটা অস্বাভাবিক না। শেষ প্রশ্নের জবাবে আপনার মতামতে স্পষ্ট যে আপনারা সালমানের ব্যাপারে উদাসীন… নইলে “তারপরও” শব্দটা ব্যবহার করতেন না…”

    আপনার তথ্য যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতাটা এমন দূর্বল কেন ? এখানে আমি বলেছি সালমানের দোষ থাকতে পারে কিন্তু তাই বলে তার নামে এফডিসিতে একটা স্থাপনা হবে না ?
    আপনি ঐ ব্লগটা বারবার পড়ুন… আপনার থেকে এই ভুলটা আশা করি নি…

    ৪. এটা আপনার পরের প্রশ্নের উত্তর- আমি সালমানের মুভি হলে গিয়েই দেখেছি-
    “অন্তরে অন্তরে”, “রঙীন সুজন সখী”, “স্বপ্নের ঠিকানা”, “তোমাকে চাই”, “স্বপ্নের পৃথিবী”, “চাওয়া থেকে পাওয়া” এবং “আনন্দ অশ্রু”
    এছাড়াও রিয়াজ, ওমর সানী, ইলিয়াস কাঞ্চনের (এর মুভিই সবচেয়ে বেশি দেখা) কয়েকটি মুভি আমি হলে দেখেছি…
    শুধুমাত্র সালমানের মৃত্যুর কারণে আমি সালমান ফ্যান হইনি, অভিনয়টাকে অ্যানালাইসিস করে হয়েছি, ওর অভিনয়টাকে ন্যাচারাল লেগেছে তাই ওর সাপোর্টেইতো বলবো…

    ৫. আমি মান্না, জসীম এবং জাফর ইকবালের মৃত্যুকে কোন মন্তব্যে ছোট করে দেখেছি ? আছে প্রমাণ ?
    আমি শুধু মান্না এবং ওমর সানীর অভিনয়ের সাথে সালমানের দূরত্ব দেখিয়েছি…
    জসীম, জাফর ইকবালের সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্যই করি নি…

    ৬. এরপর আবার আপনার ঐ এক কথা, কোন কোন ছবিটা কমার্শিয়ালি সফল, কোনটা ব্যর্থ…

    ভাই, আমি প্রত্যেকটা মন্তব্যে শুধু অভিনয়টাকে হাইলাইট করেছি, আর আপনি সেটা বাণিজ্যিক সফলতা দিয়ে বিচার করছেন…

    অভিনয়টা শিল্প, আমি টাকা খরচ করে হলে যাব অভিনয় ক্ষমতা দেখতে, সুন্দর কাহিনী দেখতে… “মনপুরা”, “থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার” বা “চোরাবালি” এগুলো কি এখনও হলে গিয়ে দেখছি না ? পকেটের টাকা খরচ করেই দেখছি…
    অভিনয় ক্ষমতাকে শ্রদ্ধা করুন… ব্যবসায়িক সফলতা সাময়িক জিনিস…
    যাদের অভিনয় ন্যাচারাল, মানুষ তাদেরকেই মনে রাখবে…

    সালমান সতেরো বছর পরেও শুধু মৃত্যুর কারণেই জনপ্রিয়, এটা ভুল…
    বর্তমান দর্শকদের ব্যাপারেও আপনি যথেষ্ট ভুল ধারণা রাখেন…
    এরা কেন সালমানকে পছন্দ করে ? এদের কোন দায় পড়েছে সালমানকে নিয়ে আদিখ্যেতা দেখানোর ? আফসোসটা কোথায় জানেন ?
    এরা যখন এখনও টিভিতে ঐ “স্বপ্নের পৃথিবী” আর “গরীবের রাণী” দেখতে বসে, তখন কোন মুভি হিট করেছিল তার পরিসংখ্যান এদের জানা থাকে না, এরা শুধু দেখে অভিনয়ের ব্যাবধান…
    এরা যেমন “মনপুরা” গ্রহণ করবে, তেমন তাদেরকে আপনি “ঢাকা টু বোম্বে” টাইপের মুভি ফ্রিতেও দেখাতে পারবেন না… ভালো অ্যাক্টর দিয়ে ভালো মুভি বানালে আপনার ঘরে ঘরে গিয়ে টোকা দিতে হবে না… পাবলিক এমনিতেই আসবে…

    যুক্তিতে আসেন বস…

    অভিনয়টাকে পছন্দ করি বলেই ওভার অ্যাক্টিং আমি পছন্দ করি না… সে যতোই ব্যাবসায়িকভাবে সফল হোক…

    এবং আশা করি আপনের বোধদয় হবে…

    • আপনেরা যে বলে সম্বোধন করেছি সেটা আপনের চোখে কিভাবে এড়িয়ে গেল বুঝতে পারলামনা।
      আর কারো কথাকে কোট করে তাকেই রিপ্লাই দেওয়াটাও আপনের অভ্যাস মনে হইল।আপনে তার কয়েকটা মুভি ই দেখেছেন।আর আমরা ঐ সময়ের প্রায় সব সিনেমা ই সিনেমাহলে গিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি।
      শিল্প আর শীল্প একসাথে না করতে পারলে সেইটার সবসময় মানসম্পন্ন হওয়ার সুযোগ থাকেনা।
      এখন বেশীরভাগ পাবলিক ই তারে মনে করে ভাব দেখানের জন্য।
      গরীবের রানী আর স্বপ্নের ঠিকানা দুইটাই ঐ সময়ের ভাল মুভি ছিল।যারা দেখেছে ঐ সময়ে তারা সেটা বিচার করতে পারবে।

      এখন ইউটিউব আর টিভিতে দেইখা সেই বিচার সম্ভব না।যারা দেখে তারা সেটা পার্বেওনা।তারা আগেই ডিসিসান নিয়া রাখছে সালমানের উপর কেউ নাই।কিন্তু ঐ সময়ের দর্শকের হাতে সালমান সানী ছাড়াও অনেক চয়েজ আছিল।

      ইউটিউব আর টেলিভিশনে সালমানের মুভি দেইখা ফ্যান হওয়া এক জিনিষ আর সিনেমাহলে দেইখা ফ্যান হওয়া আরেকজিনিষ।

      ওভার এক্টিং সবাই কমবেশী করে।
      আপনের কাছে শুধু সালমানের একটিং ন্যাচারাল লাগতেছে।তার সাথে রাজ্জাক উত্তম কুমারকে নিয়ে আসছেন আপনে ইচ্ছা করেই।
      একটা ভাব দেখাইতে।
      সাথে সানীকে একটু হেয় কর্তেও।মান্নাকেও।

      যেখানে আমার লেখাকে আমি কোথাও সালমানকে হেয় করার কোন চেষ্টা ই করিনাই।
      আপনি যখন তার মুভি দেখেছেন আমার মনে হপ্যনা আপনের তখন বিশ্লেষন করার বয়স অথবা ক্ষমতা কোনটাই ছিল।

      এতদিনে তার পুরনো মুভি দেইখা আপনে সেই ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা শুরু করেছেন।
      চার বছরে একজন অভিনেতাকে সব জায়গায় প্রমান করা সম্ভব না।এবং সালমান সেটা পারেওনাই।
      সামনে কি করতে পারত সেইটা আপনে এখন যত সহজে বলতে পার্তেছেন সেইকালে এত সহজে বলতে পারতেন না।

      আর ব্যাবসায়িক সফল না হইলে এখনের মত ই চলচ্চিত্রের অবস্থা হইবে।সিনেমাশিল্প ধ্বং স হইবে।ভারতিয় সিনেমার আমদানি হইবে।
      আপনাদের কি?

      আপনাদের তো অভিনয় দরকার।আপনেরা তো কদাচিৎ সিনেমাহলের দিকে যাইবেন।মন চাইল আর গেলেন।একটা ইন্ডাষ্ট্রীর কি হইল সে বিষয়ে আপনেরা থোড়াই কেয়ার করবেন।

      ভাল ভাল মুভি ফ্লপ খায়া গনহারে সেই খবর ও আপনেরা রাখেন না।
      শুধু একটা বানী দিয়েই আপনেরা নিজেদের দায় মেটাবেন তখন।

      ভাল মুভি হইলে দর্শক আসবেই।৫ বছরে এক মনপুরা আর চোরাবালি বাদে আপনাদের আর কোন ভাল মুভির নাম ই মনে থাকেনা।
      এর থেকে বেশী কিছু আর কিভাবে আশা করব আপনাদের কাছ থেকে?

      আপনে যুক্তি দিতেছেন সেই বিশ্বাসে আছেন?
      আপনে জাষ্ট ত্যানা প্যাচাইতেছেন।

      আপনের ত্যানা প্যাচানি শুভ হোক।

    • jesmin

      Dipu vaia..,, apni anek jukti sommoto kota bolecen… amra jara notun projonmo tara avinoy ar parthokko dekhei bicher koreci j salman is best………always… akhon j jotoi matamati , lafalafi koruk tate to r vokter sottiker valobasa tairi hobe na,,,,,ami boro golay bolte pari akhono junior, senior , notun r purono..amon ki jara amader age jara rajjak , kobori, uttom kumer ., ader vokto tarao salman k grohon korece,,amon ki notu projonmo ar samne salman k jodi ana jay tarao takei bolbe j sottiker akjon avineta chilo, akhno sober teke sera thakbe…………….. apnak anak dhonnobad j ato sundor kore amader moner otha tule dorecen………

  8. Rifat_O

    লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে লেখক বাংলা ছবির হিতাকাঙ্খী কিন্তু কারোর সম্পর্কে নেগেটিভ মাইন্ড নিয়ে পজেটিভ জিনিস লিখলে যেমন হয় লেখাটি তেমন হয়ে গেছে।

    • নেগেটিভ মাইন্ড নিয়ে কেন লেখব ভাই?
      নির্মোহভাবে সালমানকে মনে করার চেষ্টা করলাম।
      হ্যা বাংলা সিনেমার একজন হিতাকাঙ্ক্ষী বলতে পারেন আমাকে।নেগেটিভ মাইন্ড থাকলে তার অনেক মুভি ই আমি দেখতে সিনেমাহল যেতাম না।

      আমরা আসলে তখন নায়ক বাছাই করে সিনেমা দেখতামনা।কারন তখন আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নায়কের অভাব ছিলনা।নায়িকার ও না।
      আর বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে সিনেমাহল ই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা।স্কুল কলেজ ফাকি দিয়ে তাই বাংলা সিনেমা নিয়েই কাটত আমাদের ছাত্রজীবন এর বিনোদনের সময়টা।

      ফ্যান না হইলে যদি মনে করেন নেগেটিভ তাহলে আপনে ভুল ধারনায় আছেন।
      ধন্যবাদ!

  9. জুবায়েদ দ্বীপ

    দিপু ভাই,

    দেখুন আমি যদি বলি, দিপু ভাই, সালমান অভিনয় জানেন। এই কথা বলে যদি আমি যুক্তি উপস্থাপন করি, তাহলে কিন্তু আপনার খানিকতা রাগ হবে। কারন এটা যতটা যুক্তি তার থেকে বেশী হলো আবেগ। আপনি সালমানের ভক্ত এটাই মূল কথা।

    ঠিক সেইরকম আমিও মান্নার ভক্ত। এবং অবশ্যি একজন সালমান ভক্ত।
    আমি কোথাও বলিনি সালমান ভালো অভিনয় করেনা। সালমানের চলচ্চিত্র হিট করেনি।
    বলেছি কোথাও ?

    আমি বলেছি, সালমানের থেকে মান্না বেটার । আই রিপিট, মান্না সালমানের থেকে বেটার।

    চলচ্চিত্র মানেই যে ন্যাচারাল অভিনয় এটার স্বিকৃতি কোথায় কবে দেওয়া হয়েছে?

    আপনি কি ফেদরিকো ফেলিনির একটা মুভিও দেখেছেন, বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার। তার প্রায় সব ফিল্মেই ওভার একটিং এর বিষয়টা থাকে।

    আপনি কি কোরিয়ান ফিল্ম দেখেন ?

    প্রায় ৯০ % কোরিয়ান ফিল্মে ওভার একটিং থাকে।

    ওভার একটিং যদি ক্লাসিক করে করা যায় তবে সেটাও একটা আর্ট।

    সালমান ভালো অভিনেতা, সে মেধাবী, সে আমাদের গৌরব।

    কিন্তু সে মান্নার ধারে কাছে না এটা আপনি তখনোই স্বীকার করবেন যখন আপনি মান্নার কিছু মুভি দেখবেন। আমি নাম বলছি,

    কাবুলিওয়ালা, দুই বধু এক স্বামী, স্বামী ছিনতাই,ভাইয়া,কঠিন সীমার, দাঙ্গা,ত্রাস,দেশদ্রোহী,আম্মাজান,আমি জেল থেকে বলছি,লুটতরাজ,তেজী,কষ্ট,স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ ইত্যাদি।

    এরকম আরও অসংখ্য চলচ্চিত্র আছে।

    সবশেষে একটা কথা, আমার প্রথম কমেন্টের শেষ লাইন আমাকে কোট করে এইবার কনফার্ম বোকা প্রমানিত হনেল, আমি ওই কথাটা বলেছি নিম্নের যুক্তিতে।

    দেখুন, এবং একজনকে সেরা প্রমান করতে গিয়ে আরেকজনকে পচাবেন না।
    যে সেরা শুধু তার বিষয়টাই তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। আরেকজনকে পচালে বা হেয় করলে মানূষের শিক্ষা নিয়ে টান দিতে ইচ্ছে করে। আর এসব সাইকোলজিগুলো হলো চাইল্ডিশ। আমি ক্লাস থ্রি-তে এইরকম করতাম।

  10. jesmin

    manna chobi beter to durer kotha se avinoy pare kina sondeho ache…..,manna chobi maje maje koutuhol nia dekte bosi jkn tkhn ase pase friend ,ma ,baba, jara thkuk na kno sob somoy bolte sunechi j,., amon ki bahireo suntam manus bolto manna k aktuo valo lage na,…,amon ki bolto j se naki rikshawala der nayok……., i m so sorry ata ami bolte giye kaok betha dite chai na ,ami sudu ja dektam ,suntam, manuser feelings dektam tai share korlam ..ar kichui na..

  11. SM Tarikul Islam

    ********আমগো টাইমে যা সিনেমা আছিল কি কমু, হল ভর্তি দর্শক। ক্যান জানেন, কারণ হইলো আমরা আছিলাম। এহন আমরাও নাই সিনেমাও চলে না। কিন্তু এহনো অন্নেক ভালা ভালা সিনেমা হইতাছে। আর না হইলেও আপনেরা হলে গিয়া সিনেমা দেখেন। তিনটা ঘন্টাইতো বইসা থাকবেন। সালমান শাহরে তো আমরাই বানাইলাম। আমরা চাইলেই সালমানের মতন হিরো বছরে বছরে বানাইতে পারতাম। হুদাহুদিই হ্যার দোহাই দিয়া আপনেরা হলে যান না। আমরা সব নায়কের মুভি দেইখাই ভাঁজা ভাঁজা কইরা ফেলাইসিলাম। যা ইচ্ছা তাই বানাইলেও দেশী সিনেমা আমগো দেখা অতীব জরুরী।********

    আপনেরে কয়টা প্রশ্ন করি। শ্যাষ কবে হলে গেছিলেন? ১০/১২ বছরের ভিতরে হলে গেছেন কিনা সন্দেহ। আপনে স্কুল লাইফেই স্কুল ফাঁকি দিয়া সপ্তাহে ২/৩ টা সিনেমা দেখতেন। বুঝা যায় ঐ সময় সিনেমা দেখাটা ছিল আপনের নেশা। তাছাড়া বিনোদনের আর কুনো উপায় ছিল না দেইখ্যা সিনেমা দেখতেন। তখন সিনেমা ভালোও আছিলো। আপনেরা দেখতেন বইলাই চলতো এইটা পুরাই ভাব নিছেন।

    এখন ৭০-৮০% সিনেমা গোজামিল দিয়া বানানো। তিন ঘন্টা ক্যান ১০ মিনিটও ধৈর্য্য নিয়া দেখা সম্ভব না। যেইখানে অন্য দেশ আগাইয়া যাইতাছে এই সেক্টরে। সেইখানে ঢালিউড এখনও ৯০দশকের কাহিনী আমগোরে জোর কইরা গেলাইতে চায়। গত দশ বছরে ৫০টাও ভালো ছবির লিস্ট আপনে দেখাইতে পারবেন কিনা সন্দেহ।

    আপনে চান সিনেমা আবার দাঁড়াক। ক্যামতে? ভারতীয় সিনেমা আমাদের মধ্যে ছড়াইয়া যাক সেইটা চান না অথচ ঢালিউড নিজেই তো কপি কইরা কুল পায় না। ছবির নাম থিকা শুরু কইরা কাহিনী গান ভাব কায়দা বেশিরভাগ ওদের নকল। তাইলে দর্শক হলে যাইবো ক্যান, ওদেরই নকল ছবি দ্যাখতে হইলে টিভিতেই দেখুক। তাও যদি ভালো ভালো সিনেমা গুলান নকল করতো তাইলেও মানা যাইতো। থ্রি ইডিয়ট, তারে জামিন পার নকল করুক, তামিল ছবি পর্যন্ত নকল করে, এইভাবে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচানো যাবে না।

    আপনে বাংলা ছবির প্রকৃত হিতাকাঙ্খী হলে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনাই করতেন, শুধু দোষ ধরতাছেন সালমান শাহ নাই তাই ক্যান এই কথা বইলা মানুষ হলে যায় না। আমি তো দেখতাছি সালমানের জনপ্রিয়তা আপনার বিশেষ চুলকানির কারণ। আপনের এই চুলকানি সামুতেও দেখছি। আপনে অন্য নায়কদের ফ্যান হইলে অন্যদের পজেটিভ দিক নিয়া লেখেন। কে মানা করছে। চুলকানি কমানোর ওষুধ খান।

    ঘরে বইসা টিভিতে আরামসে ভালো ছবি দেখার মতো যুগে আইসা শুধুমাত্র বাংলা ছবির প্রতি ভালোবাসা দেখাতেই কেউ হলে যাইবো না। বরংচ টিকিটের টাকা খরচ করে কি দেখমু সেটাই ভাববে। ঐ দুর্বোধ্য ইচ্ছা আপনার থাকতে পারে, আমাদের নাই। অবস্থার চেঞ্জ করতে চাইলে বাংলা মুভির কাহিনী ক্যামনে ভালো হইবো সেইটা ভাবেন। ভাব নিতে আইসেন না আপনে বাংলা ছবির হিতাকাঙ্খী। ও রকম বহুত পাবলিক দেখছি যারা এক সময় হলে সিনেমা দেখার পোকা ছিল। অথচ এখন উল্টা দৌড়ায়।

    • কারে কইলেন জনাব?
      আমারে?আমিও কিন্তু কথা কইতে জানি সামুতে দেখলে সেইটা আপনের জানার কথা।
      গত ১০ বছরে যে কয়টা সিনেমাহলে দেখছি সেই হিসাব দিলে আপনের মাথায় পানি ঢালা লাগবে।
      আর ৫০ এর অধিক ভালো মুভির লিষ্ট আপনারে আমি দিতে পারমু যা গত ১০ বছরে হইছে।কিন্তু সেসবের অর্ধেক ও আপনে দেখেন নাই।কারন আপনে নকলের পিছনে দৌড়াইতেছেন।
      আপনে সালমানের জন্য সবাইরে কুরবানি করতে রাজী আছেন।
      লেকিন আমি নাই।
      এক সালমান দিয়া ইন্ডাষ্ট্রি চলেনা।
      এক শাকিব দিয়াও চলেন।
      গঠনমূলক সমালোচনার কথা বলতেছেন?
      সামু থেকে ফেসবুক এখনো এই কাজ ই করি।আগেও করেছি।
      একজন সম্পর্কে না জনাওলেই কেবল এরকমভাবে বলা যায়।
      আমরা চলচ্চিত্রের ভালো সময়টাতেও যখন সিনেমাহলে যেতাম খারাপ সময়টাতেও সিনেমাহল ছাড়িনাই।
      যা করার করেছেন আপনেরা।(যদি কথাগুলো আপনে আমাকে বলে থাকেন)

      আর নকলের কথা কইলে অনেক কিছু কওয়া যায়।আমাদের ৯০ এর দশকেও(যেই দশকের শুরুতে সিনেমাহলে যাওয়া শুরু করেছি।) নকল মুভি হয়েছে।
      আমাদের জনপ্রিয় সকল নায়ক ই তখন সেসব মুভিতে করেছে।সেসব মুভিও আমরা দেখেছি।
      কিন্তু পরে সেই মান অনিযায়ি নকল ও কর্তে পারেনাই বলেই অধঃপতন হয়েছে।আরো অনেক কারন আছে সিনেমার এই দুরবস্থার জন্য।
      কিন্তু আপনাকে বুঝানি যাইবোনা।

      আপনে নিজেরে কয়েকডিগ্রী উপরের ভাবন লাগতেছেন।
      সামুতে আইসেন আপনে।
      আমার যে কোন পোষ্টে।
      আপনাকেও চেনা হবে আর আলোচনা ও আরো জোরশে করা যাবে।লিষ্ট লাগলে সেখানেই দেওয়া হবে।
      শুভ বিদায়!

মন্তব্য করুন