Select Page

পূর্ণদৈর্ঘ্য নয়, স্বল্পদৈর্ঘ্য বানাচ্ছেন কাজী হায়াত

পূর্ণদৈর্ঘ্য নয়, স্বল্পদৈর্ঘ্য বানাচ্ছেন কাজী হায়াত

kazi-hayatসর্বশেষ ‘ছিন্নমূল’ চলচ্চিত্রে পরিচালক হিসেবে দর্শক পেয়েছেন কাজী হায়াতকে। চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও নানা কারণে এ নির্মাতা পরিচালনা থেকে দূরে আছেন। পরিকল্পনা করছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণের।

ফিল্মফ্রি নামের অনলাইনকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নিজের পরিকল্পনা অনেকটা খোলসা করেন নামি এ নির্মাতা।

কথপোকথনের এক পর্যায়ে কাজী হায়াত বলেন, ‘এখনো আমার আপাদমস্তক ফিল্ম; অথচ আমি সিনেমা বানাব না; কিন্তু আমি সিনেমা বানাব। আমি একটা টেকনিক নিজে আবিষ্কার করেছি, এবং আমি নিজে সাকসেস হতে যাচ্ছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি তিনটা শর্টফিল্ম তৈরি করব। এবং কয়েকটি শর্টফিল্ম তৈরি করব– সিরিয়াল অফ শর্টফিল্মস; যাদের ডিউরেশন হবে ৩০ মিনিট, ২৫ মিনিট, এক ঘণ্টা– এই রকম।’

তিনি আরো বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা আড়াই-তিন লাখ করে হয়তো আমাকে চ্যানেলে চালানোর জন্য দেবে। আর তিনটা গল্পের, আমার কাছে ইন্টারনেটেও মার্কেট আছে একটা। ইন্টারনেট মার্কেটিংয়ের জন্যে তিনটা গল্পই শুনে তাৎক্ষণিকভাবে দাম বলেছে, দুই লক্ষ টাকা। এবং টুমরো তারা এক লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স করবে।

সিনেমা করে প্রফিট করা যায়– সেই চিন্তাই আমার; গবেষণাও আমার। এবং আমি এখান থেকে প্রফিট করব। এতে মার্কেট হলো– একটা টেলিভিশন, অনলাইন, আর একটা বিমান, আরেকটা হলো– বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যদি কিছু করতে পারি।’

একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা নিয়ে এভাবে বলেন, “আমার তিনটা সাবজেক্টই স্পর্শকাতর। যেমন, একটা হলো, ‘হুসনাবানুর জবানবন্দি’। হুসনাবানু নাম কইরা একটা মেয়ে, গভীর রাত্রে একটা স্কুলের বারান্দায় বসা। সে নিজে কথা বলছে। জবানবন্দি দিচ্ছে– দেশীয় ভাষায়। বয়স তার চল্লিশোর্ধ। কত– সে জানে না। তার ছেলেবেলা থেকে শুরু করে, আজকে সে যেখানে বসে আছে, তার হাতে রশি, সে গলায় দড়ি দিয়ে মরবে– তার আগের টোটাল লাইফটা সে বলবে। এখানে কোনো গান নাই।”


মন্তব্য করুন