Select Page

চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের আন্দোলন স্থগিত

চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের আন্দোলন স্থগিত

fdc

উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোট’। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ইকবাল সোবাহান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের প্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান, সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগরসহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দ।

এ প্রসঙ্গে মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘আদালতের কোন অনুমতি না নিয়ে এ সিনেমাগুলো মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমাদের আন্দোলন আমদানি কারকদের বিরুদ্ধে, প্রদর্শকদের বিরুদ্ধে নয়। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের এ বিষয়টি দেখবেন বলে আশস্ত করেছেন। তাই আমারা আন্দোলন স্থগিত করেছি।’

এর আগে সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চলচ্চিত্রের ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দ। আমদানিকৃত হিন্দি সিনেমাগুলোর বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে বলে তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

ওই বৈঠকে পরিচালক সমিতির নেতা ও অভিনেতারা ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শন বন্ধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এর সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রশাসনিক অনুমতি বা সিদ্ধান্তের সম্পর্ক নেই। ২০১০ সালের বাণিজ্য নীতির আওতায় ২০১২ সালে যে কয়টি ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি হয়েছে, আমদানীকারকরা সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে তা আমদানি করেছিল।’

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এ চলচ্চিত্রগুলো বিমানবন্দর থেকে ছাড় করা বা সেন্সর বোর্ডে জামা দেওয়ার বিষয়টি তথ্য মন্ত্রণালয়ে দুই বছর পরীক্ষাধীন ছিল। এক পর্যায়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চলচ্চিত্রগুলো বিমানবন্দর থেকে ছাড় হয়ে সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে। বোর্ড তা সেন্সর করে। আদালতের রায়ের বিষয়ে সরকারের হাত বাঁধা তবে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে বাধা নেই।’


১ টি মন্তব্য

  1. শাকিব খান কি আমাদের মূর্খ পেয়েছন? নাকি কপিরাইট কিনে রিমেক আর চুরি করে নকল এর পাথ্যর্ক উনি জানেন না! সালমান খান এর যে মুভিগুলোর কথা উনি বলছেস সবই তো ঘোষণা দিয়ে রিমেক করা। উনার শেষ বছর যে মুভিগুলো বের হয়েছে তার দুটি প্রমো দেখলাম ঃ হিরো দ্যা সুপারস্টার হলো তেলেগু ফিল্ম রেবেল এর নকল এবং হিটম্যান হলো তামিল ফিল্ম ভেত্তাই এর নকল। এ্যকশন সিনে ফুটেজ ইউজ করা। এছাড়া ফাদ- দা ট্রাপ ও ভালোবাসা এক্সপ্রেস ও নকল মনে হয়েছে, ফিল্ম ধরতে পারিনি। এর আগের বছরের একটা প্রমো দেখলাম নিষ্পাপ মুনন্না- তেলেগু ফিল্ম চিনোদু এর নকল। হলে গিয়ে একটা ফিল্ম দেখলাম ফুল এন্ড ফাইনাল এটা একটা কোরিয়ান ফিল্ম এর সিন টু সিন কপি। ইউটউভ এ সার্চ করে আরও প্রমো দেখলাম- ডেয়ারিং লাভার মারছেন তামিল ছবি থিরুবিয়াডাল আরম্ভম থেকে। এছাড়া আরও অনেকঃ প্রভাস, আল্লু অর্জন, রাম চরন, রবি তেজা, এনটিআর, বিজয়, অজিত, বিক্রম, সুজিত থেকে শুরু করে বয়স্ক নায়ক নাগার্জুন, ভেঙ্কাটেশ, চিরনজীবি এমন আরও অনেক তামিল,, তেলেুগু, কান্নাড়া অভিনেতাদের ফিল্ম মেরে দিয়েছেন অনায়াসে। পোস্টার পর্যন্ত গলা কেটে তৈরা করা আছে। অনেকে বলবেন উনি নায়ক, উনি কি ফিল্ম বানান? আমার কথা হলো উনার অজান্তে এতো চুরি হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্য না। সুতরাং উনার বক্তব্য পড়ে উনাকে একজন তস্কর বলে ই মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় উনাদের চুরি চামারি ধরা পড়বে বলেই এতা ভয়।কিন্তু আমি আবারও বলবো, টিকেট কাটবো আমরা, উনি কে ঠিক করে দেওয়ার আমরা কি দেখবো না দেখবো।

মন্তব্য করুন