Select Page

‘ডুব’ বিতর্কে প্রাচী, জবাব দিলেন ফারুকী

‘ডুব’ বিতর্কে প্রাচী, জবাব দিলেন ফারুকী

rokeya-prachi-farooki

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ নিয়ে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন রোকেয়া প্রাচী। নামি এ অভিনেত্রী জানান, সিনেমাটির গল্পে যা দেখেছেন তা হুমায়ূন আহমেদের জীবনে ঘটেছে। এদিক সিনেমায় করা নিজের চরিত্র সম্পর্কে প্রাচী খোলামেলা বর্ণনা দেওয়ায় প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নির্মাতা।

বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘আমি যা বলবো সরাসরিই বলবো। আমি আসলে এখানে মায়া চরিত্রে অভিনয় করেছি। গুলতেকিন আহমেদকে ফলো করে করিনি। তার সঙ্গে আমার কোনও পরিচয়ও ছিল না। তবে আমার চরিত্রে যেটা ছিলো সেটা হচ্ছে, আমি একজন রাইটার-ডিরেক্টরের ওয়াইফ। আমাদের অনেক অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল। প্রেম করেই বিয়ে করেছি আমরা। আমার স্বামীর জীবনে আরেকটা মেয়ে আসে। যে কিনা আমাদের মেয়েরই কলেজ বান্ধবী।‘

পরে তিনি বলেন, ‘এই গল্পটা আমাদের প্রায় সবারই জানা। কারণ হুমায়ূন আহমেদ আমাদের কাছে অনেক আইকনিক একজন মানুষ। ফলে তার প্রায় সব খবরই আমাদের চোখ-কানে লেগে আছে। তার জীবনের প্রায় সবকিছুই আমাদের কাছে ওপেন সিক্রেট। তিনি নিজেও তার অনেক গল্প লিখে গেছেন। সে হিসেবে আপনি আমি বলতেই পারি- ‘ডুব’-এর যে গল্পটি শুটিং পর্যন্ত আমি যা দেখেছি, জেনেছি- সেটা হুমায়ূন আহমেদের জীবনেও ঘটেছে। এখন ফারুকী সাহেব হুমায়ূন আহমেদের সেই জীবনকে ফলো করে ছবিটি বানিয়েছেন কিনা- সেটা আমি বলতে পারবো না। এটুকু বলতে পারি- হ্যাঁ, ‘ডুব’-এর গল্পটা হুমায়ূন আহমেদের জীবনে প্রায় হুবহু ঘটেছে।‘

তিনি মনে করেন, এ নিয়ে জলঘোলা করার কিছু নেই। হুমায়ূনের জীবনী অবলম্বনে হলে নির্মাতার উচিত ছিল তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা।

irrfan_khan_tisha_in-doob_mostafa_sarwar_farooki

প্রাচীর সাক্ষাৎকারের জবাবে ফারুকী বুধবার ফেসবুকে লেখেন— ‘বাংলাদেশের আপামর সিনেমাপ্রেমীদের জন্য অধমের ছোট এই নিবেদন : আমি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাইনি। কিন্ত গত এক ঘণ্টায় আপনাদের অনেক গুলো চিঠিতে এ নিয়ে উদ্বেগ জানানোতে কিছু বলছি।

আপনাদের ক্ষোভ এবং উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ‘ডুব’ ছবিরই একজন অভিনেত্রী কিভাবে প্রেসে স্পয়লার দেন। তার ইন্টেগ্রিটি, বিবেচনাবোধ, এবং প্রফেশনালিজম নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেছেন। আই হ্যাভ নো ইন্টারেস্ট এন্ড টাইম টু কমেন্ট অন এনি সিলি অ্যাকশন।

শুধু আপনাদের আশ্বস্ত করার জন্য বলছি- “এই ছবি কোনো স্পয়লারে ক্ষয় হবার নয়। প্রথম যেদিন এটা নিয়ে নিউজ হয়েছে তখনই তো স্পয়লার চলে গেছে। কিন্তু এই ছবির প্রাণ কেবল আমাদের জানা গল্পের কাঠামোতে নয়, এর প্রান বিটুইন দ্য শটসে, অব্যক্ত বেদনায়, বরফের মতো আবেগের স্তব্ধ উপস্থিতিতে, মানুষের অসহায়ত্বে, এবং এর প্রাণ এই গল্পের প্রতি আমার ইন্টারপ্রিটেশনে। এটা স্পয়লারে জানার উপায় নাই। এটা এক্সপেরিয়েন্স করার বিষয়। (তাছাড়া যিনি স্পয়লার মারছেন উনি জানেনই না ছবির বড় অংশ জুড়ে কী আছে। প্যাথেটিক বাট ট্রু হাহাহাহা।)

ফলে আপনাদের বিচলিত না হয়ে ছবিটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে বলবো। তাজা কোনো ভিজুয়াল এক্সপেরিয়েন্স হবে এই কথা বিনয়ের সাথে দিচ্ছি।

আর ঐ দিকে উনাদেরকে আমার ছবির ফাও ক্যাম্পেন করতে দিন। কেউ ডিউটি করছে ছবির ফাও প্রমোশনের- এটা মন্দ কেনো হবে? ধরে নিন এটা তাদের চাকরি।’

ইতোমধ্যে ‘ডুব’ প্রসঙ্গে ফারুকী ও মেহের আফরোজ শাওনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

 

 


মন্তব্য করুন