Select Page

বক্স অফিস-আবেগ : কে জিতবে?

বক্স অফিস-আবেগ : কে জিতবে?

২০১৬ সালের শেষদিকে এসে সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে ঢাকাই সিনেমার হালচাল। সে ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের দ্বিতীয়দিনে ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতির হালকা ইঙ্গিত দিয়ে সফল ছয় ছবির তালিকা প্রকাশ করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

যদিও দেশে কোনো বক্স অফিস নেই— তারপরও নিজ পছন্দের নায়ক বা সিনেমা ও জাজ বিরোধিতার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বলা বাহুল্য এমন বিতর্কে সিনে ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা বিশেষজ্ঞ নেই। জাজ বিরোধিতা ও আবেগই এর মূল সম্বল।

জাজের পক্ষ থেকে ফেসবুকে লেখা হয়, ‘আমরা সম্প্রতি লক্ষ করছি বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে ২০১৬ সালের বিভিন্ন সিনেমার হিসাব-নিকাশ, ব্যবসা-ক্ষতির তালিকা দিচ্ছে। যা পরিপূর্ণ নয়, বা যা ১০০% সঠিক নয়। কিন্তু সব পত্রিকাই একটি সঠিক তথ্য দিয়েছে, তা হলো- বাদশা, শিকারি ও আয়নাবাজি- সেলের দিক থেকে প্রথমে ছিল।

আপনারা জানেন, প্রতিটা সিনেমা হলের প্রতি শো এর সেলের হিসাব সবার আগে আসে জাজের কাছে। সেই আলোকে ২০১৬ সালের ১০০% সঠিক তথ্য তুলে ধরছি সবার জন্য। এই তথ্য শুধু মাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সিনেমা হলের সেলের উপর ভিত্তি করে, এখানে কোন সিনেমার বহিবিশ্বের সেল যোগ করা হয় নাই। বক্স অফিসের সেল অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে সিনেমার নাম দেওয়া হল।

১। বাদশা (জিৎ, ফারিয়া)

২। শিকারি (শাকিব, শ্রাবন্তি)

৩। আয়নাবাজি (চঞ্চল, নাবিলা) “পাইরেসি না হলে হয়তো সিনেমাটা ১ নাম্বারে চলে যেত”

৪। বসগিরি (শাকিব, বুবলি)

৫। নিয়তি (শুভ, জলি)

৬। রক্ত (রোশান, পরী মনি)’

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের খবরের সূত্র ধরে বলা যায়, তালিকার প্রথম ৪ সিনেমা নিয়ে দ্বিমত থাকার কথা নয়। বাদশা আয় করেছে ৪ কোটি টাকা, শিকারি সাড়ে ৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘যে ১০ কারণে আয়নাবাজি দর্শকপ্রিয়’ শীর্ষক প্রতিবেদন জানায়, ‌‌’আয়নাবাজি’ আয় করেছে ৩ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু জাজ তালিকা প্রকাশের পর যেন অমিতাভ রেজার সিনেমার ভক্তরা তা মানতে নারাজ।

জাজ আরো জানায়, ‘এখানে লক্ষ করা যাচ্ছে ৬ টি সিনেমার মধ্যে ৫টি সিনেমাই জাজের সিনেমা। সেই হিসাবে, জাজ একটি সফল বছর পার করেছে। জাজ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে।’

যেহেতু জাজ জানায়নি কোনো সিনেমা কত আয় করেছে— সে দিক থেকে হয়তো বলা যায় লস কম হওয়াকেও আজকাল লাভজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় (শেষ তিন সিনেমার ক্ষেত্রে)। ভালো হয়- জাজ যদি আয় উল্লেখ করে দেয়।

জাজের প্রতিবেদনে আরো উঠে আসে— ‌‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বছরের শেষ দিকে এসে, চলচিত্র আবার মুখ থুবড়ে পরেছে। কোরবানি ঈদের পর থেকে কোন সিনেমাই ৪০ লক্ষ টাকার বেশী ব্যবসা করতে পারে নাই। আর বেশিরভাগ সিনেমা তাদের পোস্টার পাবলিসিটি ও রিলিজি এর খরচই তুলতে পারে নাই।’

এ বিতর্কের আরো একটি কারণ হলো যৌথ প্রযোজনা নিয়ে জাজের প্রতি দর্শকদের ক্ষোভ। দর্শকদের মাথায় রাখা উচিত— ঢাকাই সিনেমায় যে বিনিয়োগ নিয়ে জাজ হাজির হয়েছে, তাতে উপযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না পেলে এমনটাই ঘটবে। অন্যদিকে, জাজেরও উচিত দর্শক আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া।


মন্তব্য করুন