Select Page

বাংলাদেশের ‘মাটির প্রজার দেশে’ সিয়াটলে

বাংলাদেশের ‘মাটির প্রজার দেশে’ সিয়াটলে

matir_projar_deshe

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ চলচিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘সিয়াটল আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব’। ১৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরে শুরু হওয়া ৪২তম আসরে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির প্রজার দেশে’।

সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন বিজন ইমতিয়াজ, প্রযোজনা করেছেন আরিফুর রহমান। সিয়াটলে অংশগ্রহণ করবেন তারা দু’জনই।

উৎসবে অফিসিয়াল সিলেকশন হিসেবে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। ২৮ ও ২৯ মে পরপর দুই দিন উৎসবে ছবিটি দেখানো হবে।

‘মাটির প্রজার দেশে’ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বিজন বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর ধরে ছবিটি নির্মাণ করেছি। শুটিং করতে করতে টাকা শেষ হয়ে গেছে। আবার টাকা জোগাড় করে ছবিটির কাজ শেষ করেছি। কষ্টের মূল্যায়ন পেয়েছি আমি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এত বড় একটি উৎসবে এই ছবিটি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করতে পারছি।’

‘মাটির প্রজার দেশে’তে অভিনয় করেছেন মাহমুদুর অনিন্দ্য, শেউলী আক্তার, চিন্ময়ী গুপ্তা, রোকেয়া প্রাচী, মনির আহমেদ সাকিল, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ইকবাল হোসেন, রমিজ রাজু, আব্দুল্লাহ রানা, কচি খন্দকার, মাহফুজা বেগম রুমা, প্রশান্ত ত্রিপুরা। ছবিটির চিত্রায়ন হয়েছে রাজশাহী ও ধামরাইতে।

বিজন ও আরিফুর রহমান স্কুল জীবনের বন্ধু। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিজন পাড়ি জমান মার্কিন মুল্লুকে পদার্থবিদ্যা পড়ার জন্য। আরিফুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে থাকেন নৃবিজ্ঞান। দু’জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন বেশ ক’বছরের জন্য। একসময় দু’জনই আবিষ্কার করেন দু’জনের চলার পথ এক জায়গায় গিয়ে মিলেছে, তা হলো চলচ্চিত্র। এরপর দু’জন মিলে শুরু করেন চলচ্চিত্র নির্মাণ পাটাতন গুপী বাঘা প্রডাকশন্স লিমিটেড। এ বছর বিশ্বের অন্যতম মর্যাদা সম্পন্ন প্রামাণ্যচিত্র উৎসব জাপানের টোকিও ডক’সে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করেছেন দু’জন।

লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ফিল্ম টেলিভিশন অ্যান্ড থিয়েটার বিভাগে পড়াশোনা করেছেন বিজন। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। প্রতি বছর সারা পৃথিবী থেকে মাত্র ১৮ জন সুযোগ পেয়ে থাকেন এই বিভাগে ফিল্ম পড়ার জন্য। এখানে পড়েছেন ফ্রান্সিস কপোলা, অ্যালেক্সান্ডার পেইন, পল স্রেডার, টিম রবিনসের মতো কিংবদন্তিরা।

এদিকে ২০১০ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল, বাংলাদেশ ডকুমেন্টারি কাউন্সিল এবং স্কটিশ ডকুমেন্টারি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করেছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়েটিং ফর গডো’। ‘মাটির প্রজার দেশে’ তার প্রযোজিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

 


মন্তব্য করুন