Select Page

বায়বীয় প্রোপাগান্ডা নিয়ে ফারুকী

বায়বীয় প্রোপাগান্ডা নিয়ে ফারুকী

Mostofa-Sarwar-Farooki

কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখায় নির্দিষ্ট ফি দিয়ে যে কোনো সিনেমা প্রদর্শন করা যায়। মূলত পরিবেশক খোঁজার জন্য এ আয়োজন। চলতি বছরে এ বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা।

এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। অথচ সে যথাযোগ্য মর্যাদা পাচ্ছে না অন্য উৎসবে অফিসিয়ালি নির্বাচিত হওয়া সিনেমা। এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বুধবার ফেসবুকে লেখেন—

‍“কথা বলিবো কোন কান লইয়া? ফেসবুক নিউজ ফিডে ভাসছে শিক্ষকের কান, হেফাজতি কান, সৌখিন কান, কোথাও দেখলাম ড্রাইভারের কান। এই গোলক ধাঁধায় শ্যামল ভক্ত স্যারের অপমানের বিচার দুরে থাক, চাকরিটাই গেলো।

ঐদিকে বাংলাদেশী মিডিয়া ফোলানো-ফাপানো-অর্ধসত্য-অসত্য প্রোপাগান্ডা দিয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবের কান টানিয়া প্রায় গোড়ালিতে নামাইয়া ফেলিলো বলিয়া। এই গোলক ধাঁধায় হারাইয়া গেলো বিজন ইমতিয়াজ নামে এক তরুণের বানানো ছবি ‘মাটির প্রজার দেশে’! সিয়াটলের মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে নির্বাচিত হওয়ার খবরটা (উদাহরণস্বরূপ) প্রথম আলোর পাতায় এক ইঞ্চিও জায়গা পাইলো না। অথচ ‘কানের মিথ বা বায়বীয় প্রোপাগান্ডা’ ব্যাক পেজে জায়গা করিয়া লয়। ইহাতে সমাজে ভুল স্ট্যান্ডার্ড সেট করা হয়। মুস্তাফিজ আর সাকিব যখন পারফর্ম করিবে তখন আপনি পারফর্ম করিতেছে না এমন কাউকে লইয়া লাফাইলে পাইপলাইনে থাকা তরুন খেলোয়াড়টির সামনে ভুল স্ট্যান্ডার্ড সেট করিয়া দিলেন।

এখানে পরিষ্কার করা দরকার কানের মার্কেটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ভালো সিদ্ধান্ত। ছবি বেচা হউক বা না হউক বেচা-কেনার এই বাজারে আমাদের হাজিরা থাকা দরকার। এবং সেটা সামনে আরো বাড়ানো দরকার। তবে সেটাকে কান উৎসবের মর্যাদা দিয়া বসিলে দুই বছর পর ঐ পরিচালক বা প্রযোজকের ছবি সত্য সত্যই কান উৎসবে নির্বাচিত হইলে তখন তাহার জন্য আর কী নতুন মর্যাদা বরাদ্দ করিবেন? কান মার্কেটে ছবি দেখাইতে কোন বিশেষ যোগ্যতা লাগে না এটা সবাই জানেন আশা করি, একটা নির্দিষ্ট ফি দিয়া যে কেহই তাহার ছবি মার্কেটে দেখাইতে পারেন। কিন্ত ভ্রাতা এবং ভগিনী উহা কান উৎসবে নির্বাচিত ছবি নহে। কান উৎসবে নির্বাচিত হইতে গেলে হাজার হাজার ছবির সাথে প্রতিযোগিতা করিয়া টিকিতে হয়।

নাককে কান বলিয়া ভ্রম করিলে চলিবে না। অনন্ত জলিল সাহেবও তাহার ছবি কান মার্কেটে দেখাইয়াছেন। কিন্ত যে তরুণ ভালো একটা ফেস্টিভালে সিলেকশন পায় তাহাকে কষ্ট করিয়া ছবিটা ভালো বানাইতে হয়। সে আপনার পত্রিকায় মার্কেট স্ক্রিনিংয়ের কোনো খবরের চাইতে বেটার ট্রিটমেন্ট ডিজার্ভ করে।

মিডিয়ার নীতি নির্ধারক ভাই বোনেরা ভাবিবেন কি?

সংযুক্তি এক : যদি আরেকটু যোগ করি আমাদের মিডিয়ার ডিসপ্রপোরশনেট ট্রিটমেন্ট নিয়া। ওং কার ওয়াই, আসগর ফরহাদিদের সাথে কমপিট করে আপসা গ্রান্ড জুরি প্রাইজ জিতে আমার ছবি ‘টেলিভিশন’ পাইলো দুই কলাম তিন ইঞ্চি রিপোর্ট। আর সেই ‘টেলিভিশন’ ছবিই কোলকাতা উৎসবে জিতে পাইলো তিন দিন লিড ট্রিটমেন্ট। লে হালুয়া

সংযুক্তি দুই: দয়া করিয়া তারেক মাসুদকে এই লীগে টানিয়া আনিবেন না। ‘মাটির ময়না’ হাজার হাজার ছবির সাথে প্রতিযোগিতা করিয়া ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হইয়াছে। দুইটা এক করিয়া হাস্যরস বাড়াইয়া কী ফল?”


মন্তব্য করুন