Select Page

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য

1অতি সম্প্রতি অনন্ত জলিলের ফিল্ম নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আই এম ডি বি (IMDB)-তে ভালো রেটিং পাওয়াতে সিনেমাখোরদের মধ্যে একপ্রকারের শুচিবায়ু মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। যারা বলছে – এই ফিল্ম ওইখানে যাওয়ার যোগ্যই না – তাদেরকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দিলাম। আর যারা বলছে, এই ফিল্মের থেকে মাটির ময়না এবং এই ধরনের ফিল্মগুলোকে আই এম ডি বিতে নেওয়া উচিত- তাদেরকে সম্মান প্রদর্শন করছি। এবং এটা বলছি যে, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা‘ও আন্তর্জাতিক সম্মান পাওয়ার যোগ্য। কেন ? আসুন দেখা যাকঃ

পৃথিবীতে এক প্রকারের সিনেমা আছে, নাম যার “Cult Film”। নিঃস্বার্থ ভালোবাসা নিঃসন্দেহে একটা কাল্ট ফিল্ম। আন্তর্জাতিক বিশ্বে কাল্ট ফিল্মের খুব কদর। সহজ ভাষায় এগুলোকে বলা হয় Exploitation Film. এগুলো মানুষের এতই পছন্দ যে টারান্টিনো ওই মডেলেই বর্তমান সময়ে ফিল্ম বানিয়ে থাকেন। টারান্টিনোর অনেকেগুলা ভাই ব্রাদারও ওই একই কাজ করেন। নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জেনারে Exploitation লাগাই দিলেই আন্তজার্তিক বাজারে প্রশংসিত হওয়া যাবে।

দেখা যাক, উইকি Exploitation এর সঙ্গায় কি বলে, আর নিস্বার্থ ভালোবাসায় তা আছে কিনা ?
Exploitation film is an informal label which may be applied to any film which is generally considered to be both low budget and of low moral or artistic merit, and therefore apparently attempting to gain financial success by “exploiting” a current trend or a niche genre or a base desire for lurid subject matter. The term “exploitation” is common in film marketing for promotion or advertising in any type of film. These films then need something to exploit, such as a big star, special effects, sex, violence, or romance.

An “exploitation film”, however, due to its low budget, relies more heavily than usual on “exploitation”. Very often, exploitation films are widely considered to be of low quality, and are generally “B movies”.[1] Even so, they sometimes attract critical attention and cult followings.[citation needed] Some films which might readily be labeled as “exploitation films” have become trend setters and of historical importance in their own right, such as Night of the Living Dead (1968). Some films also might be advertised by the producers themselves as “exploitation films” in order to pique the interest of those who seek out films of this type.

উইকি যা যা বললো তার প্রায় প্রত্যেকটা আইটেম নিঃস্বার্থ ভালোবাসা-তে পাওয়া যায়। সুতরাং বলাই যায় যে, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একটা “কাল্ট অথবা এক্সপ্লোইটেশন ফিল্ম”

পরিষ্কার হলো ?

The Real Hero, Big Breast, Item Girl, Go-Go Dancer, ইত্যাদি উপাধিগুলোও  exploitation films এ প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হয়।
Go-Go Dancer, Bad Girl, Daughter Of Son Of a Gunfighter ইত্যাদি টাইটেল টারান্টিনো নিজেও ব্যবহার করেছেন। তবে জলিল, যদি AJ লাগায় তাহলে সমস্যা কোথায় ?

Death Proof

Robert Rodriguez যখন ফিল্মের সব কিছু করেন – পরিচালনা, কাহিনি, মিউজিক, ফাইট, কোরিওগ্রাফি, তখন সেইটা খুব প্রশংসিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক উপাধি দেয়া হয়, “one-man film crew”।

Rodríguez ও প্রচুর আত্মবিশ্বাসের সাথে তার ফিল্মে ব্যবহার করেন, Planet Terror is a 2007 American action horror science-fiction film written, cinematographied, co-edited, shot, chopped, Scored, produced and directed by Robert Rodriguez.

স্যালুট, হ্যাটস অফ Rodríguez, টারান্টিনো, অ্যান্ড অনন্ত জলিল। যারা কাল্ট ফিল্ম তৈরী করে, এবং যারা কাল্ট ফিল্ম পছন্দ করে, তাদের সবাইকে হ্যাটস অফ।

আমি কি টারান্টিনোর সাথে অনন্ত জলিলের তুলনা দিলাম?
নাহ, শুধু একটা বিষয় আলোচনা করতে দুইজনকে ব্যবহার করলাম।


৬ টি মন্তব্য

  1. দারাশিকো

    ব্যাখ্যাটা কতটুকু যৌক্তিক ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। এর আগে আমি নান্টু ঘটক সিনেমার গান ‘চলে আমার সাইকেল উইড়া উইড়া’-র সাথে বুচ ক্যাসাডি অ্যান্ড দ্য সান্ডেন্স কিড ছবির গানের মিল নিয়ে একটা ব্লগ লিখেছিলাম। কয়েকদিন আগেই ‘ভালোবাসা আজকাল’ ছবির একটি দৃশ্যে কবরে মাটি ফেলার দৃশ্য মৃত ব্যক্তির পয়েন্ট অব ভিউ-শটে দেখে হেসে ফেলেও সংবরন করতে পেরেছি, কারণ এটা টারান্টিনোর সিগনেচার শট।

    এবার দিপ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা-কেও ব্যাখ্যা করল সেভাবে। বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ আছে – দেখা যাক কেউ আগ্রহী হয় কিনা।

    • জুবায়েদ দ্বীপ

      ভাইয়া, আমি শুধু ধরিয়ে দিতে চেয়েছি, নিস্বার্থ ভালোবাসা একটা Exploitation Film। এবং বলতে চেয়েছি, আন্তর্জাতিক বাজারে Exploitation Film এর গুরুত্ত্ব আছে। যেহেতু আছে, সেহেতু Exploitation Film হিসেবে আমরা নিস্বার্থ ভালোবাসাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌছে দিতে পারি।

  2. ShifanDotMovie

    গত ঈদুল ফিতরের তিনটি ছবিই আমি দেখেছি … সত্যি বলতে কি নিঃস্বার্থ ভালবাসা দেখার পর মনে হল এটা নিছক একটা বিনোদন মূলক মুভি ।এটাতে না আছে গল্পের যৌক্তিকতা ,না আছে ভাল অভিনয় ।যেটা আছে ,সেটা হল প্রযুক্তির ব্যবহার ।ভাল নির্মানশৈলী থাকলেও ধরে নিতাম যে এটা একটা ভাল ছবি ।আমাদের প্রজন্মের তরুণেরা অনেকেই দেখেছে স্রেফ মজা করার জন্য ,অনন্ত র ভাল সিনেমা বানানোর প্রচেষ্টা কে স্বাগত জানানোর জন্য ।তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় ,বাকি দুইটা মুভি দেখেছেন ?তাহলে অনেকেই বলবে না ,দেখি নাই ।কিন্তু বাস্তবতা হল ভালবাসা আজকাল ছবিটাও ভাল হয়েছে ।যাই হোক ,সবাই মজা করতে করতে ছবিটা কে হিট বানিয়ে দিল ,এবং ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে রসাল মন্তব্য করে ছবিটার প্রচার যেন বেড়ে গেল ।যা হয়েছে সব মজা করে ।ঠিক একই কাজ ঘটেছে এই ছবির রেটিং এর ক্ষেত্রে ,সবাই মজা করে রেটিং দেওয়া শুরু করল ,আর অমনি এই মুভিটা মিশন ইম্পসিবল ,টাইটানিক ,বাংলাদেশের টেলিভিশন মুভির রেটিং কে ছাড়িয়ে গেল ।কেউ সিরিয়াসলি রেটিং দেইনি ।আমার কথা হল নিঃস্বার্থ ভালবাসা কাল্ট ফিল্ম হিসেবে আইএমডিবি তে যাওয়ার যোগ্য তাই বলে এই রকম হাস্যকর রেটিং মেনে নেওয়া কষ্টকর । বাংলাদেশে ভাল রেটিং দেওয়ার মত অনেক ভাল মুভি আছে ।যেগুলো সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে ।ফেসবুকে অনেককে দেখেছি এই ছবিটাকে ২৫০ এর তালিকায় নেওয়ার জন্য অনেকেই উঠে পড়ে লেগেছে ,আরে ভাই বাংলাদেশেকি আর কোন ছবি নাই?নাকি এটা বাংলাদেশের প্রথম ভাল ছবি । আর আরেকটা ব্যাপার আমার মনে হয় কাল্ট ফিল্ম হিসেবে বাংলাদেশের অনেক বাণিজ্যিক ছবিই যেতে পারে ,যেখানে আমরা বাড়তি হিসেবে ভাল অভিনয়ও পেতে পারি ।লেখককে ধন্যবাদ দিতে পারলাম না এই কারনে যে , তিনি এই পোস্টটিতে ইংরেজি বাংলা মিশ্রন করে ফেলেছেন ।উনি পুরো লেখাটি বাংলায় করতে পারতেন ।cult অথবা exploitation film
    এর ব্যাখ্যা দিতে উইকির লেখা হুবুহু দেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ।

    • জুবায়েদ দ্বীপ

      cult অথবা exploitation film এর ব্যাখ্যা দিতে উইকির লেখা হুবুহু দেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না ।

      ভাইয়া, কিছু ব্যাপার বাংলায় বোঝানো যায় না। উইকি তুলে দিলাম যাতে প্যাচাল না বাড়ানো লাগে। যারা ক্লাট কি জিনিষ জানেনা, তারা জানার চেষ্টা করবেনা। এর প্রমান আমি পেয়ে গেছি।
      কিন্তু আপনাকে ভিষনভাবে স্বাগতম যে, আপনি তাও আমার দেশের ছবির কথা বলেছেন। চেন্নাই এক্সপ্রেস নিয়েতো আর বলেননি।

      আমি জানি, আমার দেশ থেকে অনেক ছবি ভালো রেটিং পাওয়ার যোগ্য। সেগুলোকে আমরা পাঠাবো, অবশ্যি পাঠাবো। সেগুলোকেও আমরা রেটিং দেব। সেটা আমার আলোচনার বিষয়না। আমার আলোচনার বিষয় নিস্বার্থ ভালোবাসা। অনেকে মনে করে থাকেন, যে নিস্বার্থ ভালোবাসা যদি এত রেটিং পায় এবং বিদেশীরা এই ছবি দেখে তাহলে আমাদের দেশ নিয়ে খারাপ ধারনা পোষন করবে। এটা একতা জাতীয় অবমাননা মনে করছেন অনেকে।

      আমি তাদের উত্তরে বলেছি, চিন্তার কিছু নেই। পৃথিবিতে cult অথবা exploitation film বলে কিছু একটা আছে। যার সাথে নিস্বার্থ ভালোবাসা খাপ খায়। এবং আন্তর্জাতিক বাজারে exploitation film গুলোকে প্রচুর গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়। সেহেতু নিস্বার্থ ভালোবাসাকে যদি আমরা exploitation film হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি, তাহলেই হয়। এই বিষয় ভেবে দেখলে আপনারও মনে হবে exploitation film হিসেবে নিস্বার্থ ভালোবাসা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।

      নিস্বার্থ ভালোবাসা শুধুমাত্র exploitation film হিসেবেই যোগ্য। অন্যকিছুতে হয়।

      এবং আমাদের আরও অনেক ছবি আছে, সেগুলো আরও অনেক বেশী যোগ্য, সেগুলোকে অন্য জেনারে, ভিন্ন ক্যাটাগরি, কোনোটা রোমান্স,কোনটা যুদ্ধ ভিত্তিক, কোনটা ধর্মিয় গোরামি ভিত্তিক, ইত্যাদি বিভিন্ন জেনারে সেগুলোকেও পাঠাবো। অবশ্যি পাঠাবো,

    • জুবায়েদ দ্বীপ

      নিস্বার্থ ভালোবাসা শুধুমাত্র exploitation film হিসেবেই যোগ্য। অন্যকিছুতে “””” হয়। “”” দেয়া আছে নিচের কমেন্টে, এটা “”” নয় ” হবে,

      কিভাবে কমেন্ট এডীট করতে হয় আমি জানিনা

মন্তব্য করুন