Select Page

দুই মোড়কে পুরনোকে নতুন করে ফিরে পাওয়া (অগ্নি+লোভে পাপ পাপে মৃত্যু)

দুই মোড়কে পুরনোকে নতুন করে ফিরে পাওয়া (অগ্নি+লোভে পাপ পাপে মৃত্যু)

Love-Pap-Pape-Mrittu-235x275পুরনোকে নতুন করে ফিরে পেতে কার না ভাল লাগে! আর সেই পুরনো যদি হয় হারিয়ে যাওয়া বন্ধু, সোনালী অতীত কিংবা বহুদিনের আকাঙ্খিত কোন বস্তু? সেই ভাল লাগার আনন্দটা হয়ে ওঠে অনাবিল।আর যাকে এড়িয়ে চলতে চাচ্ছি, যা দেখে দেখে বিরক্ত তাই যদি আবার সামনে চলে আসে?

চলতি সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে দু’টি ছবি দেখার সুযোগ হলো এ দু’দিনে। দুটো ছবিই ভালো লেগেছে, সেই ভাল লাগায় যুক্ত হয়েছে একই সঙ্গে আশা আর হতাশা।

অপেক্ষাকৃত বেশি আনন্দ পেয়েছি ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু‘ ছবিটি দেখে। হঠাৎ করে যেন কৈশোরে ফিরে গিয়েছিলাম, ছবিটি ২০০০-২০০৪সালের আবহ নিয়ে এসেছে হলজুড়ে। ঐ সময়ের রোমান্টিক ছবিগুলো রিয়াজ-শাবনূরের সোনালি সময়ে যেমন ছিল তেমনি এক ছবি ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু‘ জমজমাট কাহিনী, জোড়ালো সংলাপ, গানের আধিক্য যদিও বিরক্তিকর। কাহিনীতে বেশকিছু টার্নিং পয়েন্ট দর্শকদের মনোযোগ পর্দায় নিবদ্ধ করে। ছবিটি দেখতে দেখতে গত বছরের “নি:স্বার্থ ভালবাসা” ছবিটার কথা খুব মনে পড়ে। সেই রকম আয়জনে যদি এ ছবিটি হত!!!!! ঐ সময়ের ছবিতে যেরকম ভূল থাকত এছবিতেও তা আছে। বাংলা ছবি যারা দেখেন না তাদের ভালো লাগার কোনই কারন নেই কিন্তু যারা দেখেন তারা নির্মল বিনোদনের জন্য অবশ্যই ছবিটি দেখতে পারেন।

দুর্দান্ত একশান, মনোরম লোকেশন, মাহীর মাদকতা, আরেফিন শুভ’র উপস্থিতি ‘অগ্নি‘ ছবিকে করেছে সমৃদ্ধ। কিন্তু এক বাক্যে যদি ছবির কাহিনীটা বলে দেই? “ছোটবেলায় নিজের চোখের সামনে বাবা-মা’কে খুন হতে দেখে তানিশা, বাবা-মা’র খুনের প্রতিশোধের নেশায় হয়ে ওঠে অগ্নি্।” বলেন তো কি বুঝলেন এতক্ষণ ধরে? বাংলা চলচ্চিত্রের কাহিনীর যে কয়েকটি বিষয়ে মানুষ হাসাহাসি করেন ও নাক সিটকান তারই অন্যতম একটি হলো এ কাহিনী। এ ছবিটি নিয়ে উত্তেজনায় কয়েকদিন আগেই ভাটা পড়েছিল প্রযোজনা সংস্থাটির মিথ্যাচার দেখে যে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি, আর বিশেষ যখন জেনেছিলাম এ ছবির কাহিনীকার আব্দুল্লাহ জহির বাবু।


মন্তব্য করুন