← তবুও ভালোবাসি

মন্তব্য করুন।

৫টি রিভিউ

  1. পুরাই ফালতু সিনেমা। টাকাটাই গচ্চা গেল। নায়ক-নায়িকার ন্যাকামিপূর্ণ অতি অভিনয়, বস্তাপচা সস্তা সেন্টিমেন্টাল ডায়লগ, আর অকারণ টেনে লম্বা করে তিন ঘন্টার বিরক্তি ছাড়া তেমন কিছুই নেই দেখার। তবে গানগুলো তুলনামূলক ভালো। তবে একটা জিনিস বুঝলাম পুরানো অভিনেতা অভিনেত্রী যেমন দিতি, সোহেল রানার অভিনয়ের কাছে বাপ্পি, মাহি এরা একেবারেই জড়ভরত।

  2. সিনেমা হলে টিকেট কাউন্টার খোলার আগেই লম্বা লাইন থাকবে, টিকেটের জন্য চিল্লাচিল্লি, হাউজ ফুল হলে ব্লাকে টিকেট বিক্রি হবে – অবশ্যই সিনেমা শিল্পে সুদিন ফিরে আসার লক্ষণ। ঠিক এমনটাই দেখতে পেলাম বাপ্পী ও মাহির তবুও ভালবাসি দেখতে গিয়ে। টিকেট কাটতে হল আড়াইগুন বেশী দামে।পোড়ামন ছবিতে নায়ক সাইমনের অভিনয় ভাল লেগেছিল আর মাহি ছিল শরীরসর্বস্ব। কিন্তু মাহি তবুও ভালোবাসিতে তুলনামূলক অসাধারন অভিনয় করেছে – বিশেষ করে প্রথমার্ধে।বানিজ্যিক ছবির কারনেই মাহির আকর্ষনীয় শরীরের প্রতিটি ভাঁজ ফুটিয়ে পরিচালক যুবক সম্প্রদায়কে অনেকবারই চিত্‍কার করাতে বাধ্য করবেন। ফিগার ঠিক রেখে এভাবে অভিনয়ে উন্নতি করলে মাহি অনেকদূর যাবে। দারুন আশাবাদী। আমার দেখা বাপ্পী অভিনীত প্রথম ছবি। ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে দর্শকদের মাঝে মনে হল। কান্নার অভিনয়ে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে মনে হয়েছে – তবুও একশন, এক্সপ্রেশনে ভাল। “আমার মাথায় নাই চুল, কাজে করি না ভুল, বিছাই সন্ত্রাসের জাল, নাম আমার লাল” ডায়ালগের ভিলেন অমিত হাসানই আমার দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এখানে। সবারই ভাল লাগবে। নতুন রুপে অসাধারন করেছেন। সোহেল রানা, দিতির মত অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছি না। সিনেমার ফিনিশিং এ সমস্যা এবং বাংলা সিনেমার গত্‍বাধা কিছু আছেই তা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠবেই তবে বাংলা সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে। ঘরে বসে বাংলা সিনেমার পিন্ডি না চটকিয়ে সিনেমা হলে তবুও ভালবাসি দেখার আমন্ত্রন।

রিভিউ লিখুন

আরও ছবি