← মাই নেম ইজ সিমি

ট্রিভিয়া

  1. 'মাই নেম ইজ সিমি' চলচ্চিত্রটি প্রতারণা অভিযোগে অভিযুক্ত। গত বছরের অক্টোবরে জাদু আজাদকে পরিচালক করে 'অপরাধী বাদশা' শিরোনামে একটি ছবির কাজ শুরু করে প্রযোজক সিমি। এই শিরোনামেই এফডিসিতে ছবিটি এন্ট্রি হয়। শুধু তাই নয়, ব্যাংককের পাতায়ায় এর শুটিংয়ে যাওয়ার সময় মন্ত্রণালয়েও 'অপরাধী বাদশা' নাম জমা দেওয়া হয়। কথা ছিল ডাবিংয়ের আগে শিল্পীদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হবে। এই অভিযোগ করে ছবির শিল্পীরা জানান, 'শুধু শিল্পী নয়, নির্মাতার সঙ্গেও প্রতারণা করে সিমি। জাদুকে বাদ দিয়ে মনতাজুর রহমান আকবরের মাধ্যমে ছবির কাজ শেষ করিয়ে তা সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়। শিল্পীদের অর্থ পরিশোধ না করার জন্য গোপনে অন্যদের দিয়ে ডাবিং করানো হয়।'
  2. প্রতারণা প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, অর্থ এবং ছবির চরিত্রের ক্ষেত্রেও আমার সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা করা হয়েছে। কারণ ছবির শিরোনাম ছিল 'অপরাধী বাদশা' মানে নায়ককেন্দ্রিক গল্প। সেই হিসেবে এতে কাজ করি। বিদেশে যাওয়ার সময়েও মন্ত্রণালয়ে এই নামই এন্ট্রি করা হয়। কিন্তু এখন নাম পাল্টে রাখা হয়েছে 'মাই নেম ইজ সিমি'। মানে নায়িকাপ্রধান ছবি। এমন প্রতারণা কখনো মেনে নেব না।প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব।
  3. ছবিটির জন্য ডাবিং করেননি মূল অভিনয় শিল্পীরা। অন্য কাউকে দিয়ে কাজটি করানো হয়েছে। ডাবিং না করা শিল্পীদের তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান, খলঅভিনেতা মিশা সাওদাগর, সিনিয়র অভিনেত্রী আনোয়ারা প্রমুখ। পরিচালক সমিতির সিদ্ধান্তেই শিল্পীরা ডাবিং এ অংশ নেন নি।
  4. তবে ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ছবির প্রযোজক ও নায়িকা সিমি ইসলাম কলির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাব কমিটির এক সভায় ছবি থেকে জাদু আজাদকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সঙ্গে নায়িকা প্রযোজক সিমি ইসলাম কলিকে তার পছন্দ মতো পরিচালক নিয়ে ছবির কাজ শেষ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়।