← রাজা বাবু

মন্তব্য করুন।

৩টি রিভিউ

  1. কাহিনী সংক্ষেপঃ- ছোটবেলা থেকে এতিমখানায় বড় হয় রাজা। এদিকে বাবুনগরের নকল উত্তরাধিকারীর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পায় সে। নকল রাজাবাবু হয়ে বাবুনগরে এসে সে জানতে পারে তারই জীবনের একের পর এক অজানা অতীত…

  2. নায়কের কলার ধরেছে দুষ্ট পুলিশ। আপনি নিমগ্ন ভাবে দেখছেন। হঠাৎ করেই হলের মধ্যে পাশ থেকে কেউ চেচিয়ে উঠলো, “ওই হালা,কলার ছাড়।” অথবা দৃশ্যটা যদি এমন হয় যে নায়ক গুন্ডাদের পেটাচ্ছে, এবং প্রতি ঘুষির সাথে ‘ঢিসুমাইক’ শব্দের পাশাপাশি আপনি যদি “মার হালারে, মার” সাউন্ড শুনতে পান তবে তখন ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিশ্চয়ই আপনার চোখ খুঁজতে থাকবে কে – সেই শাকিব খান ভক্ত?
    এতক্ষণেও যদি না বুঝেন তাহলে আরেকটু ভাংগায়া বলি, জনতার কাতারে নেমে, সর্বস্তরের মানুষের সাথে, প্লাস্টিকের চেয়ারে, গুমট গরমে শাকিব খানের ছবি দেখার কথা বলছি। আমি আউল-ফাউল মুভি দেখছি ম্যালা। কিন্তু শাকিব খান বিদ্যা বালানের মতোই সব ছবিতে বলে দেয়, “এন্টারটেইনেমন্ট, এন্টারটেইনেমন্ট, এন্টারটেইনেমন্ট!” ভাগ্য ভালো আমি তামিল মুভি দেখি না। সেই জন্যই এই জম্পেস টুকলিফাই মুভিটা দেখতে পারছি। কারণ এটা নাকি তামিল “দামু” ছবির কপি-পেস্ট।

    গানের মধ্যে “চল তুলি সেলফি, চল তুলি সেলফি” কিংবা “চলনা দু’জন মিলে ওয়ান টু খেলি, মুন্নী, শিলা নই, আমি চামেলী” যখন বলতে থাকে তখন হলে শোরগোল পড়ে যায়। কোরাস চলতে থাকে। আমি শাকিব খানের আগেও ছবি দেখছি। কিন্তু দিন দিন এর ভক্ত সংখ্যা তো বিপদসীমা অতিক্রম করে ফেলতাছে। নাহলে গতকাল মুন্সীগঞ্জগামী বাসে ‘আমড়া’ বিক্রেতার কাছে শুনতে হতো না যে শাকিব খানের “রাজা-বাবু” অস্থির সিনেমা। গানের মধ্যে কস্টিউম যে কি জিনিস সেটা আমি ধরতে পারি নাই। শাকিব খান কি প্যান্ট পড়ছে, না পেটিকোট, নাকি রাতে ঘুমানোর ট্রাউজার অথবা হরেক রংয়ের জোড়াতালি কাপড় সেটা আমি ধরতে পারি নাই। আফসুস।
    আমার কাছে গান গুলা খারাপ লাগে নাই। ভারত – বাংলার যৌথ প্রযোজনার ছবির টালিউডি মিউজিকের চেয়ে স্বদেশী মিউজিক ম্যালা ভালো। আশা করতেই পারি, পরবর্তী অকেশন গুলোতে রাস্তায় সাউন্ডবক্সে পোলাপান জোরে হিন্দি গান না বাজিয়ে এগুলো বাজাবে।

    স্লিম ফিগারের অপুর দিকে নজর দিলাম। তবে আর যাই বলুন, ববিরে আমার সবসময়ই খাসা লাগে। “রাতের পাখি আমি সোহানা” দেখার পর থেকেই ওর প্রতি আমার একটা দুব্বলতা আছে। ছবির শেষে শাকিব ববি + অপু দুই জনরেই দুই বগলে নিয়া চইলা যায়। কিন্তু কার লগে বিয়া বা শাদী হয় কোনো কিছুই বুঝতে পারলাম না। নরম্যাল বাংলা ছবি হইলে এখানে যে কোন একজন মইরা যাইতো। এইটা নরম্যাল ছবি না, তাই এরকম কিছু হয় নাই। ছবিটা দেখার সময় আমি রাতুলরে মিস করছি। ওর লগে বাংলা ছবি দেখার একটা মজা আছে। বাজি ধরা যায় পরের scene কি হইবো এটা নিয়া। এই ছবিতে অবশ্য বাজি ধরার ম্যালা কিছু ছিল।

    বিনোদনের বড়ই অভাব ভাই। তাই হলে মুভি দেইখ্যা বিনোদিত হই। আপনিও দেখবেন, মাথা ঠান্ডা হইবো। আর সর্বস্তরের জনগণের সাথে ছবি দেখলে তো কোনো কথাই নাই। বিনোদন overloaded হইয়া যাইবো।

রিভিউ লিখুন

আরও ছবি