Select Page

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন আইটেম শিল্পী সাদিয়া

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন আইটেম শিল্পী সাদিয়া

ভারতীয় সিনেমা থেকে ধার করে আনা আইটেম গানের সংজ্ঞায় যাই থাকুক না কেন, সিনেমায় এর উপস্থিতির প্রধান কারণ হল আইটেম শিল্পীর সংক্ষিপ্ত খোলামেলা পোশাক এবং অঙ্গভঙ্গী। সিনেমার গল্পের সাথে তাল মিলিয়ে যে গান তাতে এই দুয়ের উপস্থিতি প্রশ্ন সৃষ্টি করতে পারে, বরং আইটেম গানে নিশ্চিন্তে উপস্থাপন করা যায়, তাই সিনেমা যেমন তেমন হলেও সমস্যা নেই – আইটেম গানটি জমকালো করার চেষ্টা চলে বর্তমানে নির্মিত সব চলচ্চিত্রের নির্মাতার মধ্যেই। এই আইটেম গানে যে গুটিকয়েক নারীর নিয়মিত উপস্থিতি তাদেরকে আইটেম শিল্পী হিসেবে পরিচিত করেছে, তাদের মধ্যে সাদিয়া আফরিন অন্যতম। 

aitem-2.gifআইটেম গানে অভিনয়ের মাধ্যমে নজর কাড়ার তুলনায় সাদিয়া আলোচনায় এসেছিলেন বাংলামেইলে প্রকাশিত এক নিউজের কল্যাণে। আইটেম গানের নামে অশ্লীলতা শিরোনামে নিউজে সাদিয়া অভিনীত আইটেম গানের একাধিক ছবির মাধ্যমে অশ্লীলতার স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছিল। সেই বাংলামেইলেই সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাদিয়া জানিয়েছেন শুধু খোলামেলা পোশাক পড়িয়ে আইটেম গানে অভিনয় করার পক্ষে তিনি নেই, কারণ এতে সৌন্দর্যের চেয়ে অসৌন্দর্য বেশি হবে।

তবে আইটেম গান বিষয়ে আলোচনাকে শিরোনামে স্থান না দিয়ে সাদিয়ার সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা বিষয়ক মন্তব্যকেই শিরোনাম করেছে সংবাদমাধ্যমটি। আইটেম গানে অভিনয়ের জন্য সামাজিকভাবে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সাদিয়া জানিয়েছেন, ‘প্রথমে খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছে। মানুষ ভাবত মেয়েটা সকালে একটা ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গভীর রাতে বাসায় ফিরে। অনেকের মনে এ নিয়ে প্রশ্ন জাগত। এবং বাঁকা চোখে তাকাত। প্রতিবেশীদের বিভিন্ন কান কথাও সহ্য করতে হয়েছে। এখন বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর এ ধারণাটা কেটে গেছে। এখন সবাই বলে স্টার হয়ে গেছিস। এবং বেশ সম্মানও পাই সবার কাছ থেকে। সামাজিকভাবেও কোন সমস্যার মধ্যে পড়ি না। আর একটি বিষয় আমি কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি মাঝে মাঝে ফজরেরটা একটু বাদ পড়ে যায়। এছাড়া সামাজিক ক্ষেত্রে অন্যকোন ঝামেলা বা সমস্যার মধ্যে কখনও পড়তে হয়নি।’

অবশ্য পাঁচওয়াক্ত নামাজের কথা উল্লেখ করার উদ্দেশ্য কি সাক্ষাতকারে তা পরিস্কার হয় নি। সম্পূর্ণ সাক্ষাতকারটি এখানে পড়তে পারেন।

ছবি: বাংলামেইল

 


মন্তব্য করুন