ফারুক আহমেদ

ফারুক আহমেদ একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত নাটক-চলচ্চিত্রের নিয়মিত মুখ ফারুক আহমেদ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিত।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফি বিষয়ে পড়াকালীন সময়ে মঞ্চে অভিনয় দিয়ে ফারুক আহমেদের অভিনয় জীবন শুরু। একসময় তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের নাট্য সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা থিয়েটারের সাথে যুক্ত হন। ঢাকা থিয়েটারের হয়ে তিনি কীত্তনখোলা, কেরামত মণ্ডল, হাত হদাই, যৈবতী কন্যার মন, প্রাচ্য, বনপাংশুল ইত্যাদি নাটকে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা থিয়েটারের সাথে যুক্ত থাকলেও মঞ্চের তুলনায় টিভি পর্দায় বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে রসিক লাল নামের একটি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেন। বিটিভি থেকেই তিনি হুমায়ূন আহমেদের অচীন বৃক্ষ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান এবং এর মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেন এবং হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকাকালীন প্রায় সব নাটকেই অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদ তার লিলুয়া বাতাস বইটি ফারুক আহমেদকে উৎসর্গ করেছিলেন। কমেডি চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি কিছু চলচ্চিত্রে সিরয়াস চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

অভিনেতা পরিচয়ের পাশাপাশি ফারুক আহমেদের আরেকটি পরিচয় হল তিনি নাটক রচনা এবং নির্মান করেন। এ পর্যন্ত তিনি বেশ কিছু নাটক লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কালসাপের দংশন’, ‘উচ্চবংশ পাত্র চাই’, ‘দুই বাসিন্দা’, ‘বিয়েকাটা’।তার লেখা নাটক প্রথম নির্দেশনা দেন শহীদুজ্জামান সেলিম। নাটকটি ছিল ‘উচ্চ বংশ পাত্র চাই’। তার পরিচালিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পানিপড়া’, ‘ডিগবাজী’ প্রভৃতি। এই নাটকগুলো প্রচারের পরপরই বোদ্ধামহল থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

ব্যক্তি জীবনেও ফারুক আহমেদ একজন সুখী মানুষ। স্ত্রী এবং এক মেয়ে নিয়ে তার সুখের সংসার। তার মেয়ের নাম সাইরুজ নাওয়ার ঐশী।

 

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নাম ফারুক আহমেদ