আমিন খান

চিত্রনায়ক আমিন খান তার বয়সের তুলনায় এখনো তরুণই রয়ে গেছেন। তার চেহারায় বিন্দুমাত্র বয়সের ছাপ পড়েনি। দেহাবয়বেও সে ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। মেদহীন শরীরে তিনি আগের মতোই প্রাণবন্ত রয়েছেন।
১৯৯০ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় এসেছিলেন আমিন খান। মোহাম্মদ হোসেনের ‘অবুঝ দুটি মন’ ছবির মাধ্যমে তার রূপালী পর্দায় পদার্পণ ঘটে। এ ছবিতে তার সাইনিং মানি ছিল মাত্র এক টাকা। তবে প্রথম ছবিতেই তিনি সবাইকে বাজিমাত করে দিয়েছিলেন। দর্শকরা তাকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন।

তার দ্বিতীয় ছবি ‘দুনিয়ার বাদশাহ’ সুপারহিট ব্যবসা করলে আমিন খানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, এ দুই সিনেমায় তার নায়িকা ছিল চাঁদনী ও শাবনূর। অ্যাকশন সিনেমায় সফল হওয়ায় নির্মাতারা রোমান্টিক সিনেমার পাশাপাশি অ্যাকশন সিনেমায়ও তাকে চুক্তিবদ্ধ করাতে থাকেন। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে রোমান্টিক নায়ক হিসেবে সালমান শাহ, ওমর সানীর পাশাপাশি আমিন খানও নিজেকে চেনাতে সক্ষম হন। তার অভিনীত ‘হৃদয় আমার’, ‘জনম জনম’- ব্যবসা সফল ও জনপ্রিয় হয়। সালমান শাহ এর অসমাপ্ত সিনেমা ”স্বপ্নের নায়ক”-এ অভিনয় করে প্রশংসিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৮/৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তোমার আমার প্রেম’, ‘সাগরিকা’, ‘লাভ ইন থাইল্যান্ড’ ছবিগুলোও জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অপরদিকে অ্যাকশন নায়ক হিসেবে ‘বীর সন্তান’, ‘বাংলার কমান্ডো’, ‘শয়তান মানুষ’, ‘জনতার বাদশাহ’, ‘বিশ্বনেত্রী’ ছবিগুলোও তার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের ব্যবসা সফল ও আলোচিত সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

গত ২২ বছরে আমিন খানের ঝুলিতে প্রায় দেড়শত ছবি জমা পড়েছে। এইসব ছবিতে তিনি শাবনূর, মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, শাবনাজ, শিল্পী, ঋতুপর্ণা, শাহনাজ, একা, সিমলা, মনিকা বেদী, সাহারা, নিপুণ, অপু বিশ্বাসসহ সব নায়িকাদের সাথে কাজ করেছেন। এরমধ্যে ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেব’, ‘আজ গায়ে হলুদ’, ‘বধূবরণ’সহ বেশ কিছু ছবি দর্শক হৃদয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখনো তার দর্শক চাহিদা তুঙ্গে। বরাবরই তিনি রুচিশীল ছবিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।

আমিন খানের জন্ম ১৯৭২ সালের ২৪ ডিসেম্বর খুলনায়। তার পুরো নাম আমিনুল ইসলাম খান। তার স্ত্রী স্নিগ্ধা খা। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।

 

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নাম আমিনুল ইসলাম খান
ডাকনাম আমিন
জন্ম তারিখ ডিসেম্বর ২৪, ১৯৭২
জন্মস্থান খুলনা

কর্মপরিধি