ইমন সাহা

বাংলা টেকনো, লোকসঙ্গীত ও চলচ্চিত্রের গানের পরিচিত নাম ইমন সাহা। তিনি সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী সত্য সাহা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রমলা সাহার পুত্র।

ইমন সাহা ২০০৮ সালে ‘চন্দ্রগ্রহন’, ২০১২ সালে ‘পিতা’ ও ২০১৩ সালে ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে এবং ২০১১ সালে ‘কুসুম কুসুম প্রেম’, ২০১২ সালে ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ও ২০১৬  সালে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’  ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

ইমন ১৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। তার শৈশব কাটে ঢাকাতেই। তিনি সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি ছিল তার প্রবল অনুরাগ।

মৌসুমী

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে প্রিয়দর্শনী অভিনেত্রী আরিফা পারভীন মৌসুমী (Arifa Parvin Moushumi)।  তিনি একই সাথে একজন প্রযোজক, পরিচালক ও গীতিকার। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে সালমান শাহ‘র বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে মৌসুমী’র বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন। এখন পর্যন্ত তিনি ১৫০টির ও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।

মৌসুমীর সকল সংবাদ পাবেন এখানে

অভিনয়ের পাশাপাশি এক সময় ছবি প্রযোজনার কথা ভাবেন মৌসুমী। ১৯৯৭ সালে ‘কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র’ নামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত প্রথম ছবি ‘গরীবের রানী’ পরিচালনা করেন মনোয়ার খোকন। এরপর একটু বিরতি নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হয় মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘সুখের ঘরে দুখের আগুন’ ও মনতাজুর রহমান আকবরের ‘আমার বউ’ ছবি দুটি। তারপর কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র থেকে আর কোনো ছবি নির্মিত হয়নি।

‘মেঘলা আকাশ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র  পুরস্কার পান। এরপর তিনি ‘দেবদাস’ ছবিতে চন্দ্রমুখী চরিত্রে এবং ‘তারকাটা’ ছবিতে অভিনয় করে আরও দুটি জাতীয় পুরস্কার পান।

তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানী। তাদের দুই সন্তান – এক ছেলে ফারদীন এবং মেয়ে ফাইজা। তার বোন ইরিন জামানও একজন অভিনেত্রী।

ইবনে হাসান খান

ইবনে হাসান খান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক। তিনি ও ফরিদুর রেজা সাগর যৌথভাবে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেন।

চাষী নজরুল ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধের পরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতার নাম কি – এ প্রশ্নের জবাবে আবালবৃদ্ধবণিতা একস্বরে যার নাম বলবেন তিনি চাষী নজরুল ইসলাম (Chashi Nazrul Islam)। সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত চিত্রায়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র নির্মানের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালনার শুরুতেই ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিতে সক্ষম হন চাষী নজরুল ইসলাম। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরও ছয়টি এবং সাহিত্য নির্ভর এগারোটি প্রসংশিত চলচ্চিত্র নির্মান করে নিজের নামকে তিনি স্বমহিমায় উজ্জল করে তুলেন। Continue reading

রাজীব

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের শক্তিমান খলনায়কদের অন্যতম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। প্রথাগত খলনায়ক ইমেজ তৈরিতে তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালীর দুমকিতে রাজীব জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রাজীব রূপালি পর্দায় পা রাখেন। মূলত, কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি পরিচিত পান। এর আগে তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। অভিনয়ের টানেই সিনেমায় নাম লেখান। রাজীব দুই শতাধিক বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। Continue reading

আনোয়ার হোসেন

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে মুকুটহীন সম্রাট হিসেবে খ্যাত অভিনেতার নাম আনোয়ার হোসেন (Anwar Hossain)। ১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তোমার আমার‘ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। প্রথম দিকে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে তিনি মূল ও চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে তিনি ‘মুকুটহীন সম্রাট’ উপাধি লাভ করেন। Continue reading