ই. আর. খান

ই. আর. খান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি সহকারী হিসেবে এহতেশাম ও মুস্তাফিজের ‘লিও ফিল্মস’-এ যোগ দেন। তিনি এহতেশামের সঙ্গে ‘এদেশ তোমার আমার’ ছবিতে ব্যবস্থাপক ও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি জহির রায়হান, বেবী ইসলাম, সালাহ্উ‌দ্দিন, মুস্তাফিজ, এস এম পারভেজ, সাদেক খান প্রমুখের সঙ্গে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। ই আর খান পরিচালিত প্রথম ছবি ‘চেনা অচেনা’। তার প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘সন্তান’। তিনি মোট ২৬টি ছবি পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হল রূপবানের রূপকথা, সন্তান, সাধারণ মেয়ে, দাসী, মামা ভাগ্নে, কাঁচের স্বর্গ, বধু, সময় কথা বলে, কোবরা, ব্যবধান, তামাশা।

ই. আর. খানের জন্ম ১৯৩৫ সালে ২২ জুন পুরান ঢাকায়। তার পিতা হাকিম হাবীবুর রহমান। সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, মুসলিম হাই স্কুল ও এম এ জিন্নাহ কলেজ থেকে শিক্ষাজীবন শেষে মানসাটা ফিল্মস্ অব বোম্বে লিমিটেডে যোগ দেন। তিনি নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকা ক্লাব, ধানমন্ডি লায়ন্স ক্লাব, লায়ন্স ফাউন্ডেশন, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা সমিতি, ফিল্ম আর্কাইভ, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রদর্শন সমিতি ইত্যাদি বিভিন্ন সংগঠনের তিনি আজীবন সদস্য, সদস্য বা দাতা সদস্য ছিলেন।

উত্তম আকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিনান্সে এমকম ডিগ্রিধারী উত্তম আকাশ সরাসরি চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন ১৯৯৫ সালে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুক্তির সংগ্রাম’।

প্রযোজক মালতী দেবী তার মা।

ইলিয়াস কোবরা

তিনি একজন খলনায়ক। অন্যান্য খলনায়কদের সাথে তার পার্থক্য হল – তিনি আগাগোড়াই খলনায়ক, কখনো নায়ক ছিলেন না। তার আরেকটি পরিচয় হল – তিনি মার্শাল আর্ট জানা খলনায়ক। তিনি কোবরা, ইলিয়াস কোবরা – প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রের খলনায়ক। Continue reading

ইবনে মিজান

বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান ১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্রের নাম ‘একালের রূপকথা’। তবে এর আগেই তিনি উর্দু ভাষায় ‘আওর গাম নেহী’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মান করেছিলেন যা মুক্তি পায় নি। ফোক ফ্যান্টাসী চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন। Continue reading

ইরিন

অভিনেত্রী ইরিন (Irin) চলচ্চিত্রে আসেন সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। একই ছবিতে শাকিব খান প্রথম অভিনয় করেন। ইরিনের অন্য একটি পরিচয় হল তিনি চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ছোট বোন। মজার তথ্য হল, মৌসুমীও সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।

অভিনেত্রী হওয়ার আগে থেকেই ইরিন গান গাইতেন। মৌসুমী এবং ইরিনের মা রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। মায়ের হাতেই গানের হাতেখড়ি। মিক্সড অ্যালবামে ইরিন গানও গেয়েছেন। একক অ্যালবাম বের করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি ইরিন উপস্থাপনাও করেন।

আহমেদ নাসির

আহমেদ নাসির একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি ‘বাংলার বাঘ’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মায়ের জন্য মরতে পারি’, ‘মায়ের জন্য পাগল’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তিনি এম এ খান সবুজের সাথে ‘মধু পূর্ণিমা’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।

আহমেদ শরীফ

আহমেদ শরীফ (Ahmed Sharif) একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি আহমেদ শরীফ টেলিভিশনের জন্য কিছু নাটক-টেলিফিল্ম নির্মান করেন। ২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করেন টেলিফিল্ম ‘ক্ষণিক বসন্ত’। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য তিনি নির্মাণ করেন নাটক ‘ফুল ফুটে ফুল ঝরে’। দীর্ঘ আট বছর পর নাদের খানের প্রযোজনা ও রচনায় হাস্যরসাত্মক গল্পের এ নাটকের নাম ‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’।

রাজনৈতিক জীবনে আহমেদ শরীফ বিএনপি-পন্হী। দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তিনি তার এলাকা কুষ্টিয়ায় কাজও শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক। এখনও সেই আদর্শ নিয়েই পথ চলছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে মনোনয়ন দেয়ার এখতিয়ার সম্পূর্ণই দলের।’ উল্লেখ্য, তিনি জিসাসের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

আবদুল্লাহ জহির বাবু

সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘তুমি আমার’ এর কাহিনীকার হিসেবে আবদুল্লাহ জহির বাবু চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন। ছবিটির পরিচালক জহিরুল হক তারা বাবা, ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি চলচ্চিত্র সংক্রান্ত কর্মকান্ডের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছিলেন।

তার রচিত কাহিনিতে এফ আই মানিক, মনতাজুর রহমান আকবর, শাহাদাৎ হোসেন লিটন, শাহীন সুমনদের মত পরিচালক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।

আবদুল্লাহ জহির বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার প্রাক্তন স্ত্রীর নাম ফারজানা, ২০১৪ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের দুটি সন্তান, একটি পুত্র এবং একটি কন্যা।