কাউকে নিয়ে বিশদ আকারে লিখতে গেলে অনেক বেশী পরিমাণে জানতে হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে “কাজী মারুফ” নামটি একটি ইতিহাসই বটে। যার প্রথম ছবিগুলোই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে ভূষিত। স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক “কাজী হায়াৎ” এর নিজ হাতে গড়া বর্তমান সময়ের চিত্রনায়ক ‘কাজী মারুফ’কে নিয়ে জানাবো আজকে এই ফিচার। তবে তার আগে ‘কাজী হায়াৎ’ সম্পর্কে একটু আলোকপাত করি— Continue reading
অজ্ঞাতনামা : বাস্তবসম্মত কেস স্টাডি
ভালো সিনেমা হরহামেশা মেলে না।ভালো গল্পের সিনেমাও হরহামেশাে মেলে না।’ভালো সিনেমা’ ও ‘ভালো গল্প’ পরিপূরক।অফট্র্যাকের সিনেমায় এ দুটো ভালো মেলে।বাণিজ্যিক সিনেমার গতিপথ অনেকটাই একঘেয়েমি অাজকাল তাই অফট্র্যাকের জন্য মুখিয়ে থাকে অনেক দর্শক।বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বাস্তবতায় অফট্র্যাক সিনেমার বাজার ভালো রকমই হতাশার।পৃষ্ঠপোষকতার অভাব অার দর্শকভেদে ‘নাটক, টেলিফিল্ম’ ব্যাখ্যা দেবার কৌশলে অবমূল্যায়নের পরিবেশ অাছে।এ পরিবেশেই নতুন অফট্র্যাক সিনেমা ‘অজ্ঞাতনামা’-র প্রসব হলো ঢালিউডে।
‘অজ্ঞাতনামা’ সিরিয়াস ঘরানার অফট্র্যাক ক্যাটাগরিতে বাস্তবসম্মত কেস স্টাডি।কেস স্টাডি বেজায় শক্ত কাজ।শক্ত কাজের চ্যালেন্জ সবাই নিতে পারে না অাবার যারা নেয় সহজে হাল ছাড়ে না।হাল না ছেড়েই বানানো হয়েছে সিনেমাটি।তৌকির অাহমেদ ‘কেস স্টাডি’ করেছেন তার সৃজনশীল স্টাইলে যেখানে দর্শকের কাছে তিনি একজন গ্রহণযোগ্য নির্মাতা হিশেবে অাস্থা অর্জন করেছেন।সিনেমাটি ৬৯ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা ‘মার্কসে দু’ ফিল্মে প্রিমিয়ার হয়।পাশাপাশি ইতালির ‘গালফ অব নেপলস ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল’ অর্জন করে জুরি মেনশন অ্যাওয়ার্ড।গুরুত্বপূর্ণ দুটি অান্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়ে দেশে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
বাস্তব বিষয়ের উপরে সিনেমা নির্মাণ যারা করতেন তৌকির অাহমেদ তাঁদের স্টাইলকে ফলো করেন এটুকু তাঁর সিনেমার ভাষাতে পরিষ্কার।তাই ‘অজ্ঞাতনামা’ চোখের সামনে থাকা বাস্তবকে তুলে এনেছে কেস স্টাডি-র মাধ্যমে।সিনেমাটির স্টোরি টেলিং, মেকিং মেসেজ সবকিছুর মধ্যে এই ‘কেস স্টাডি’-টা সূক্ষ্মভাবে করা হয়েছে।একজন কুমোর তার হাঁড়িটাকে শৈল্পিক করে তোলার জন্য চাকার সাথে সম্পর্কের পাশাপাশি নিজের হাতটিকে তুলির মতো ব্যবহার করে তাই রংবেরং অাকার ধারণ করে।এভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।’অজ্ঞাতনামা’-র প্রক্রিয়াও এভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’কেস স্টাডি’-তে একটি বিষয়কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গবেষণার অাকারে নিয়ে ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন হয়।’অজ্ঞাতনামা’-তে তাই হয়েছে।
অালোচনার সুবিধার্থে পয়েন্ট করে বিশ্লেষণের প্রয়োজন অাছে..
‘নামা’ প্রসঙ্গ
**********
‘নামা’ শব্দটি ব্যবহারিক দিক থেকে বিভিন্ন অর্থ তৈরি করে।প্রয়োগটি বৈচিত্র্যময়।যেমন ধরুন- ‘চুক্তিনামা, কাবিননামা, অামলনামা।’মধ্যযুগে ‘জঙ্গনামা’ নামে এক ধরনের সাহিত্য রচিত হতো
।এ শব্দাংশটি একটা ডকুমেন্ট হিশেবে ব্যবহৃত হয়।’অজ্ঞাতনামা’ শব্দটিতে আছে বাস্তবের ডকুমেন্টেশন।
বিষয় নির্বাচনে বাস্তবতা
*********************
সিনেমার বিষয় ‘মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির অনিয়ম ও এর পরিণতি।’বিষয়টি সমসাময়িক এবং লং টার্ম বাস্তব।কারণ জনশক্তি রপ্তানির প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে না।যদিও বিদেশি জটিলতা হয়ে থাকে তবে তা সাময়িক।রপ্তানির সময়টি সম্পূর্ণ একটা মৌসুমকে ঘিরে থাকে।নিপূণ সেজন্য ‘middle east’ এ যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।এভাবে অারো অনেককে স্বপ্ন দেখায় দালাল।সিনেমায় এটা অাছে।
বাজার পদ্ধতি
************
যারা জনশক্তি রপ্তানিতে কাজ করে এদের বাজার পদ্ধতি বা market place নিম্নবিত্ত।এদের স্থানীয় নাম ‘দালাল।’নিম্নবিত্তকে টার্গেট করে তারা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখায়।স্বপ্ন দেখানোর পদ্ধতিও সস্তা।কোনোরকমে যেতে পারলেই বিদেশি টাকা পাঠাবে বা জমাবে তারপর এককালীন সঞ্চয় নিয়ে দেশে ফিরবে।দেশে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে এবং স্বনির্ভর হবে।’দালাল’ চরিত্রে সিনেমায় শহীদুজ্জামান সেলিম টার্গেট করে এভাবেই।দালালের লোভী মানসিকতায় জাল পাসপোর্ট দিয়ে একজনের জায়গায় অার একজনকে পাঠিয়ে স্বার্থ হাসিল করার বিষয়টি অারো বাস্তব।সেলিম এ কাজটি করার ফলেই ফজলুর রহমান বাবুর ছেলের জায়গায় বেওয়ারিশ লাশ এসে পড়ে।নিম্নবিত্তরা ভালো থাকতে চায় তাই সহজে টোপে পড়ে যায়।
সরেজমিন তদন্ত
***************
সরেজমিন তদন্তের বিষয়টি এ সিনেমার শক্তিশালী জায়গা।একটা মামলাকে যেমন দীর্ঘ পরিস্থিতিতে দেখানো হয় সেভাবেই সিনেমার রহস্যপর্ব দেখানো হয়েছে।রহস্য উদঘাটনে একটি লাশের খোঁজ করতে গিয়ে শতাব্দী ওয়াদুদ তার পুলিশ ফোর্সের সাহায্যে তদন্তটি করতে থাকেন।সরেজমিনে গিয়ে কার বাড়ি, কোথায় থাকে, কে পাঠিয়েছে বিদেশে, কোন ভিসায় পাঠিয়েছে, লাশ একজনের জায়গায় অার একজ ন কিভাবে এলো, কিভাবে সেটা নিয়ে হয়রানি হলো এসব পার্ট টু পার্ট দেখানো হয়েছে।সরেজমিনে সিনেমার নামের ক্ষেত্রে সার্থকতাটা ফুটে উঠেছে।
প্রশাসনিক জটিলতা
******************
প্রশাসন অনেক বড় সমস্যা বাংলাদেশে।কারণ, অনিয়ম রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভরপুর।যদিও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সিনেমায় প্রথমদিকে অ্যাকটিভ দেখানো হয়েছে যেটা হরহামেশা দেখা যায় না।পরে লাশের হদিস করতে গিয়ে পুরো সমস্যাটি ধরা পড়ে।বেওয়ারিশ লাশ কে গ্রহণ করবে সেটা প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।এক প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ অাবার খাদ্য মন্ত্রণালয় বলে অন্য একটার কথা।এভাবে দায়িত্ব এড়ানো বা চাপানোর মতো সূক্ষ্ম প্রশাসনিক জটিলতা ঘটে।পুৃলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ঝামেলার বিষয়টিও এর অাওতায় পড়ে।
বাস্তবসম্মত অভিনয়
******************
বাস্তবসম্মত অভিনয়ই সিনেমাটির প্রাণ।সব চরিত্রই নিজেদের জায়গায় নিজেদের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে।’দালাল’ শহীদুজ্জামান সেলিম নিম্নবিত্তকে স্বপ্ন দেখানো বা প্রশাসেনর কাছে নিজেকে জনগণের সেবক হিশেবে তুলে ধরতে গিয়ে অাইনি জটিলতায় পড়ে যায়।নিজের ক্ষতি দালালরা চায় না তাই অার ‘ফকিরের বাচ্চা’ বলে গালি দেয়া নিম্নবিত্তের জন্য কাজ করবে না বলে জানায়।সন্তানহারা ফজলুর রহমান বাবু সিনেমার মানবিক অংশ।তদন্তে অাসা ওসির সামনে কথা বলার সময় তার এক্সপ্রেশন বাস্তবকেও হার মানায়।সেলিম যখন শিখিয়ে দেয় লাশ গ্রহণের সময় কাস্টমসে কি বলতে হবে সেটা না বলে সন্তানের কথাই বলে।সেলিম উত্তপ্ত হয়ে মারতে থাকে।তারপর ‘অাছির বাজান, অাছির বাজান’ বলে কাঁদতে থাকে জীবন্তভাবে।মোশাররফ করিম ওসির নির্দেশ মানা পুলিশের কর্মচারী হলেও মজা ও সিরিয়াসনেস দুটোই দেখায়।নিপূণের ঘরে সে তার প্রেমিক হয়ে অাসে যা দর্শককে হাসিয়েছে অাবার বাবুকে সেলিম যখন মারে রাস্তার মধ্যে মোশাররফ বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়।নিপূণ মধ্যপ্রাচ্যের স্বপ্ন দেখা মেয়ে যার স্বপ্নভঙ্গ দিয়ে সিনেমার বাস্তবসম্মত মেসেজ অাসে যে ভুল পথে স্বপ্ন দেখার ফল খারাপ হয়।অভিনয়টা চমৎকার।শাহেদ অালি সন্তানহারা বাবুকে সান্ত্বনা দেয়া মানবিক চরিত্র, তার বডি ল্যাংগুয়েজে সেটার ভিন্ন টাচি অবস্থা ফুটে ওঠে।শতাব্দী ওয়াদুদ ওসির পদে নিজের মেজাজি অভিনয়ে অসাধারণ।তদন্তে তার তৎপরতা প্রশসংনীয়।জুঁই স্বামী শোকে পাথরমূর্তিতে অনবদ্য কিংবা মা মোমেনা চৌধুরী অাহাজারিতে অসাধারণ।অাবুল হায়াত হঠাৎ ছেলে হারানোর খবর শুনে পড়ে যেতে থাকে একজনের ওপর।তখন মানতে হয় এটা বাস্তবের দৃশ্য।
[su_box title=”অজ্ঞাতনামা নিয়ে আরও দেখুন”]”অজ্ঞাতনামা”কথা, লেখক: সৈয়দ নাজমুস সাকিব[/su_box]
ক্যামেরার ভাষা
**************
ক্যামেরায় বাস্তব দৃশ্যগুলো আনতে পারে না সব নির্মাতা।এ সিনেমায় নৌকা, স্রোত, সূর্যাস্ত, গোধূলি, রাত, ভোর সব বাস্তবিক ছিল।খোঁচা খোঁচা দাড়ির বাবুর মেকাপ বাস্তবের মতোই হতাশার মধ্যে থাকা মানুষের অবয়ব তুলে ধরে।ক্লোজ ও লং শটের সমান উপস্থিতিতে চরিত্রগুলোর বডি ল্যাংগুয়েজ বাস্তবিক করা হয়েছে।শিশুশিল্পীর নৌকা বানানো এবং ভাসিয়ে দেয়ার মাধ্যমে বাবার জন্যে অপেক্ষাকে বোঝানো হয়েছে।বাবা গেছে নদী পেরিয়ে তাই নৌকাই তার ফিরে অাসার প্রতীক।
মানবিক উন্মোচন
****************
সিনেমাটির অাগাগোড়াই মানবিক দিককে কেন্দ্র করে বা লক্ষ্য করে এগিয়েছে।গান তার সবচেয়ে বড় নমুনা।’প্রতিদিন তোমায় অামি দেখি না মা/কতশত নামের ভিড়ে অামি অজ্ঞাতনামা।’ এখানে ‘অামি’-র মাধ্যমে নির্মাতার পাশাপাশি দর্শকও হিশেবটা মেলাতে পারবে।অজ্ঞাতনামা-র পরিচয়হীন বাস্তবটা যে কারো ক্ষেত্রে সমান।বাস্তব দেখেও না দেখার ভান করা অামরা সবাই নিজেদের কাছে অজ্ঞাতনামা।’ক্ষমা কইরা দিও বাজান/ ক্ষমা কইরা দিও/ কেমন কইরা তোমার দেহ/মাটি চাপা দেব।’ চূড়ান্ত মানবিক দিক এ গান।সন্তানহারা বাবার অার্তনাদে মধ্যপ্রাচ্য জনশক্তি বাণিজ্যে অাদম ব্যবসা ভয়াবহ এখানেই।
সিনেমা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত দেখানোর জিনিস।চোখের দেখা বলে যেটুকু থাকে পর্দায় তার একটা উপস্থিতি থাকে।’অজ্ঞাতনামা’-র পর্দা উপস্থিতি বাস্তবকে স্তরে স্তরে একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের সম্পূর্ণ ঘটনাকে দেখানো কেস স্টাডি।এ স্টাডিতে শেষ পর্যন্ত দর্শকের লাভ হচ্ছে চোখের কোণে একফোঁটা পানি।এসময় একটা ঘটনাই ঘটে।অার তা হচ্ছে গলার রেখাটা শক্ত হয়ে অাসে।
সিনে নজরুল
আজ ২৭ অাগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুদিন। প্রিয় কবির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা।
নজরুল আমাদের জাতীয় গর্ব, সম্পদ। তাঁর জীবনটাই বলতে গেলে চলচ্চিত্র হবার জন্য যথার্থ। কারণ, তিনি যে জীবনকে দেখেছেন তার পরতে পরতে ছিল সংগ্রাম।রুটির দোকানে কাজ করা নজরুল, লেটো গানের নজরুল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক নজরুল, কবিতার বলিষ্ঠ কণ্ঠের নজরুল, প্রেম-মানবতার নজরুল, নার্গিস-প্রমীলার নজরুল, বাকশক্তি হারানো নজরুল এগুলোকে জড়ো করলে ‘চলৎ+চিত্র’ বিষয়টা অনায়াসে জীবন্ত হয়ে যায়। সেরকম মুন্সিয়ানা দেখানো নির্মাতা থাকলে নজরুলকে নিয়ে মাস্টারপিস সিনেমা হতেই পারে। Continue reading
সমাজ খারাপ, চলচ্চিত্র তারই প্রতিচ্ছবি : সোহেল রানা
‘চলচ্চিত্রের অবস্থা আসলে খারাপ হয়নি। খারাপ হলে আমাদের সমাজ খারাপ হয়েছে। চলচ্চিত্র হচ্ছে এই সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগৎ রাজনীতির চেয়ে অনেক ভাল আছে।’— কথাগুলো চিত্রনায়ক সোহেল রানার। তার মতে, সমাজ ও চলচ্চিত্রের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সমাজ বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করা ছাড়া চলচ্চিত্রকে বোঝা যাবে না। Continue reading
নতুন এক শাকিব খান উপহার দিল ‘শিকারি’
যৌথ প্রযোজনা নিয়ে যখন বিতর্কের ঝড় একদম তুঙ্গে তখনি বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান খ্যাত শাকিব খানকে দেখা গেল জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং এস কে মুভিজের যৌথ প্রয়াস শিকারীতে।পোস্টারে “শিকারি” লেখাটা দেখে খুবই খটকা লাগছিল, বাংলা অভিধানেতো শিকারী লেখা রয়েছে। নাকি বাংলা একাডেমী ঈ-কার বদলে দিয়েছে সেই প্রশ্ন মাথায় রেখেই ঈদের দিন সিনেমা প্রেমীদের লাইনে ভিড়েছিলাম। যখন টিকেট হাতে পেলাম না তখনি বুঝে নিয়েছি এই সিনেমা সারা মাস চলবে এবং বলাই বাহুল্য ৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে দেশের ব্লকবাস্টার সিনেমা হল গুলিতে শিকারী চলছে একেবারে হাউজফুল। Continue reading
অারেফিন শুভ ফ্যাক্ট
একুশ শতকের সিনেমা দাবি করে অাধুনিকতার। অাধুনিক হতে হতে মানুষের রুচি পুরনো থেকে বদলাতে থাকে।পুরনোকে তাই বলে অস্বীকার করতে পারে না, যদিও বা কেউ করে থাকে সেটা বেশিদিন টেকে না। গণমানুষের নায়ক হতে গেলে তাকে মানুষের কাছে পরিচিত হতে হয়। মানুষের মন জয় করতে হয়। এভাবে অনেকদূর যাবার একটা পথ নিজেকেই বানিয়ে ফেলতে হয়। একুশ শতকের ঢালিউডে ডিজিটাল সময়ের নায়ক অারেফিন শুভ দর্শকের নতুন স্বপ্ন-সম্ভাবনা-প্রত্যাশার একটা পারদে পরিণত হয়েছে। ঢালিউডে সে এখন একটা ‘ফ্যাক্ট’ যাকে ‘ফ্যাক্টর’ হতে হবে ধীরে ধীরে। যেখান থেকে শুরু হবে অন্য কারো স্বাপ্নিক অধ্যায়।
দেখা যাক কি কি অাছে সে ‘ফ্যাক্ট’-এ..
‘রানওয়ে’ ও আজকের জঙ্গিবাদ
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র রুহুল। গ্রামের মাদ্রাসায় দাখিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে কিন্তু পরীক্ষা দিতে পারেনি। বাবা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির প্রত্যাশায় গেছে কিন্তু মাসখানেক হয়ে যাবার পরও কোনো খোঁজ-খবর নেই। মা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনে সেই গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চালায়। বোন গার্মেন্টসে চাকরি করে। মাঝে মাঝে মামার সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে কম্পিউটার শিখে রুহুল। সেখানে পরিচয় হয় আরিফের সাথে। কিন্তু সে জানে না এই পরিচয় তাকে কোন ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। Continue reading
নিয়তি : গল্প যেখানে সিনেমার হিরো
নিয়তি
পরিচালক : জাকির হোসেন রাজু
ব্যানার : জাজ মাল্টিমিডিয়া
অভিনয় : আরিফিন শুভ, জলি, সুপ্রিয় দত্ত, ঈশানী, মৌসুমী সাহা, আরমান পারভেজ, নাদের চৌধুরী। Continue reading
বাপ্পারাজ : একাই একশো
বিখ্যাত বাবার ছেলে হওয়ার একটা ঘোর বিপদ অাছে।ছেলেটি যা কিছু করুক না কেন লোকে বলবে অারে সে তো অমুকের ছেলে।বাপ্পারাজের ব্যাপারটাও তাই।তার নিজের জাত প্রতিভায় সে যতোই উজ্জ্বল হোক না কেন লোকে বলে ও তো নায়করাজের ছেলে।নায়করাজের সুপুত্র বাপ্পারাজ।অভিনয়ে তার জুড়ি মেলা ভার।সেদিক থেকে একটা কথাই অাসে মন থেকে ‘বাপকা বেটা বাপ্পারাজ।’ Continue reading
বাদশা দ্য ডন – বিনোদন, বিনোদন, বিনোদন
শিরোনামের দিকে তাকিয়ে কি কিছু মনে পড়ে গেল? পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছে সংলাপটি তাই না? হ্যাঁ ঠিক ই ধরেছেন। ডার্টি পিকচার সিনেমাতে সংলাপটি হিন্দিতে বলেছিলেন বিদ্যা বালান। বাদশা দ্য ডন সিনেমাটি দেখার সময় কথাটি আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পেরেছি। আসলেই একটি সিনেমাতে তিনিটি দিক থাকে – বিনোদন বিনোদন এবং বিনোদন। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত বাদশা দ্য ডন সেই বিনোদনের অপর নাম। নির্মান, অভিনয়, কাস্টিং থেকে শুরু করে পুরোপুরি প্রফেশলিজম দিয়ে ভরে থাকা একটি মুভির নাম জাজ মাল্টিমিডিয়ার যৌথ প্রযোজনার মুভি বাদশা দ্য ডন। কাহিনী, সংলাপ, কমেডি, গান, অ্যাকশন থেকে শুরু করে চমৎকার মডিফিকেশনের কমপ্লিট প্যাকেজ এর একটি সিনেমা। Continue reading